UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রিফিউজি থাকলে কারও কারও জন্য কিছুটা লাভই হয় : প্রধানমন্ত্রী

koushikkln
অক্টোবর ৪, ২০২১ ৭:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো দেশে শরণার্থী (রিফিউজি) থাকলে সেটাই বোধহয় কারও কারও জন্য ব্যবসা হয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তরিক। তবে কোনো কোনো সংস্থার জন্য এটি ব্যবসা। শরণার্থী না থাকলে তো তাদের চাকরিই থাকবে না।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রিফিউজি থাকলে কারও কারও জন্য কিছুটা লাভই হয়। তারা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি খুব একটা দেখে না। অনেকের কাছ থেকেই অনেক প্রস্তাবনা পাই দের জন্য এটা করা হোক, ওটা করা হোক। আমরা বলি যা কিছু করার, মিয়ানমারে করেন। সেখানে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান। এখানে তাদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী) জন্য যা কিছু করার, আমরা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের অধিবেশন চলাকালে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছি। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে আমি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও সহযোগিতা কামনা করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সম্পর্কে আমি আবারও বিশ্বনেতৃবৃন্দকে স্মরণ করিয়ে দেই যে, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সৃষ্টি মিয়ানমারে, সমাধানও রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই কেবল এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে বলে উল্লেখ করে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে গঠনমূলক উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, সৌদি আরব, ওআইসি, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, গাম্বিয়া এবং বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ২২ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আমি মূল বক্তব্য দিই। অনুষ্ঠানে তুরস্ক, গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এবং আসিয়ানের বিশেষ দূত বক্তব্য রাখেন।