ঊষার আলো ডেস্ক : বাংলাদেশের মত উষ্ণ আবহাওয়ার দেশে অতিরিক্ত ঘামে কাপড় ভিজে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই রয়েছে। শরীরের ভিতরের কোনো দুর্বলতার জন্যও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। দৈনন্দিন কার্যক্রম যদি প্রচন্ড ঘামের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- ব্রোকোলি, পেঁয়াজ ও শারীরিক দুর্বলতা থেকেও ঘাম বেশি হয়। অতিরিক্ত গরম বা রোদে বেশি ঘেমে গেলে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে বা ঝিমঝিম করে। শরীরের হতে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। কাজে বেশি ঘামলে পানি বা স্যালাইন বা ডাবের পানি পান করুন। ডায়াবেটিস রোগীরা হঠাৎ বিন্দু বিন্দু করে শীতল ঘামলে বুঝতে হবে রক্তে শর্করা কমে গেছে। এমন হলে দ্রুত চিনির শরবত খেতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসের রোগীদের স্নায়ুজনিত সমস্যা হলে খাবার সময় বা পরে মাথা, কপাল বা ঘাড় বেশি ঘামতে পারে। উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকলেও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। কোনো দুশ্চিন্তায় বেশি ঘামা, হাত-পায়ের তালু ঘামা উদ্বেগের লক্ষণ, সাথে বুক ধড়ফড়ানি থাকতে পারে।
থাইরয়েড সমস্যায়ও একই ধরনের উপসর্গ। কাজে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করতে পারেন। এছাড়া দৈনিক শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি বা পানী জাতীয় খাবার পান করতে হবে।
ঘামের সমস্যা হতে পারে হৃদ্রোগের ক্ষেত্রে। এছাড়া ক্যানসার রোগীদেরও ঘাম হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। অতএব ঘাম বেশি হলে শুরুতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
(ঊষার আলো-এফএসপি)