ঊষার আলো ডেস্ক : দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টির দেশব্যাপী কর্মসূচির আলোকে বাগেরহাট জেলা কমিটির উদ্যোগে রামপালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (০৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় উপজেলার বাবুরবাড়ির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জিরোপয়েন্ট মোড়ে বাংলাদেশের জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি বাগেরহাট জেলা কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার।
বাগেরহাট জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি’র সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য এ্যাড. মহিউদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে ও রামপাল ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য নিমাই চন্দ্র শীলের সঞ্চালনায় অন্যান্যর মধ্যে আরো বক্তব্য দেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সদস্য নূর মোহাম্মদ মোড়ল, সনজিত মন্ডল সোনা, জেলা সদস্য ও রামপাল উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অশেষ রায় পল্টু, জেলা সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোংলা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর বিশ্বাস, ওয়ার্কার্স পার্টির রামপাল উপজেলা সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি জগবন্ধু ঘরামী, পার্থপ্রতিম ঠাকুর, ডালিম শেখ, আব্দুল রহিম শেখ, নীলকমল রায়, বাবুল শেখ, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ নেত্রী কাকলী রায়, সাংবাদিক সুজন মজুমদার, মনোজিৎ মুখার্জ্জী, স্টালিন হালদার, বুলু বিশ্বাস প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শান্তির বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও একটি কুচক্রী মহল অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এজন্য বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আগের ঘটনাগুলোয় অপরাধী ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। এদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তার ল্েয ‘সংখ্যালঘু সুরা আইন’ পাশ ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন ও জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ৬০টি সংরতি আসন বরাদ্দ করাসহ একজন উপ-রাষ্ট্রপতি ও একজন উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করা, দখল হওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি নিজ নিজ মঠ ও মন্দির হস্তান্তরসহ উদ্ধার হওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা জাদুঘরের পরিবর্তে মঠ-মন্দিরের কাছে ফেরত দিতে হবে। কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোরআন অবমাননার নামে ’৭১-এর পরাজিত শত্রুরা ধর্মনিরপেতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের পায়তারা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান অবমাননাসহ সরকারের ভাবমূর্তি ুণœ করতে কুমিল্লা, চাঁদপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রংপুর, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গাপূজায় মন্দিরে পূর্বপরিকল্পিত হামলা, পূজা বন্ধ, অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাংচুর, সেবাইত ও ভক্তদের নৃশংস হত্যাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ও দোকানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করার প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।