ঊষার আলো প্রতিবেদক : সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-কর্মচারীকে করোনার টিকা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও শতভাগ টিকার আওতায় আসেনি সবাই। ২০ মার্চ নির্ধারিত সময় শেষ হলেও টিকা গ্রহণ ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ি কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের লক্ষে “সুরক্ষা’’ অ্যাপে বয়স নির্বিশেষে সকল শিকের রেজিস্ট্রেশনের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। এেেত্র সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক-কর্মচারীকে ২০ মার্চের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রতিদিন কতজন শিক-কর্মচারী টিকা নিয়েছেন তা বিকেল ২টার মধ্যে অধিদফতরে পাঠাতে হয়েছে। যদিও খুলনা জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সে নির্দেশনা নিয়মিত পালন করা হয়নি। দেশের সকল জেলা প্রাথমিক শিা অফিসার ও প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্টকে করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তদারকির বিষয়টি নিয়েও রয়েছে নয়ছয়। শতভাগ পূরণ না হওয়ায় নতুন করে সামনে আসছে বিষয়টি। তবে নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার মেয়াদ বাড়ায় তেমন কারও মাথাব্যাথা নিয়ে টিকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে।
মেহমানে আলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সফিউর রহমান বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার আগেই করোনার টিকা গ্রহণ করেছি। এখন পরবর্তী ডোজের অপেক্ষায় আছি। তিনি সকলকে টিকা গ্রহণের আহবান জানান।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম সিরাজুদ্দোহা বলেন, দৈনিক শিক্ষকদের করোনা টিকা নেওয়ার তথ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে সপ্তাহে তথ্য নেওয়া হয়। এছাড়া টিকা নেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হলেও টিকা নিয়েছে ৮০ ভাগ শিক্ষক-কর্মচারী।