আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টকনকপুর সিদ্দিকা আমিনিয়া মদিনাতুল উলুম মাদারাসা থেকে মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন (১১) নামের একজন আবাসিক শিশু ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। নিখোজের ৪ দিন পর শিশুটির পিতা জেলার রামপাল উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট সদর মডেল থাানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। নিখোঁজ নাজমুলের পিতা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টকনকপুর সিদ্দিকা আমিনিয়া মদিনাতুল উলুম মাদারাসায় আবাসিক থেকে হেফজ পড়ত।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে কাউকে কিছু না বলে মাদারাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরের দিন বুধবার আমার স্ত্রী রোজিনা বেগম ছেলে নাজমুলকে দেখতে মাদরাসায় যায়। নাজমুলকে না পেয়ে শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান নাজমুল হাসান ইয়াছিন কাউকে কিছু না বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদরাসা থেকে বেরিয়ে গেছে। এরপর অনেক খোজাখুজি করেছি তাকে পাওয়া যায়নি। শফিকুল আরও বলেন, আমার ছেলে মাদারাসা থেকে নিখোজ হওয়ার প্রথম দিকে শিক্ষকরা আমাদের জানায়নি এবং সহযোগিতা করেনি। সন্তান নিখোঁজ হওয়ার পিছনে শিক্ষকদের গাফেলতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শফিকুল।
শফিকুলের স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, ছেলেকে মাদরাসায় রেখে পড়ালেও মাঝে মাঝে আমি দেখতে যেতাম। মঙ্গলবার মাদরাসায় গিয়ে দেখি আমার ছেলে মাদ্রসায় নেই।
ভট্টকনকপুর সিদ্দিকা আমিনিয়া মদিনাতুল উলুম মাদারাসার মুহাতামিম মাওলানা আলী আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মাদরাসার বাবুর্চীর একটি ভাঙ্গাচুরা বাইসাইকেল চালিয়ে মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন রাস্তায় যায়। পরে বাইসাইকেল ছাড়া একাই মাদরাসায় আসে। পরে জানতে পারি বাবুর্চীর বাইসাইকেলটি স্থানীয় একটি দোকানে সে দশ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে । মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিনকে এই ধরণের কাজ যে অন্যায় তা বুঝিয়ে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি নাজমুলের সাথে। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন নামের একজন মাদারাসা শিক্ষার্থী নিখোজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। আমরা বেতার বার্তা প্রদান করেছি। নিখোজ শিক্ষার্থীকে খুজে বের করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।