UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ নৌকার মাঝির নারীসহ ৯জন নতুন  

koushikkln
ডিসেম্বর ৬, ২০২১ ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর (যশোর) : কেশবপুরে ইউপি নির্বাচনে ১১ নৌকার মাঝিদের মধ্যে ১ নারী প্রার্থীসহ ৯ জন নতুন মুখ ৷ বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেশবপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৬ জন চেয়ারম্যান, ২ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপি থেকে ৩ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন উপলক্ষে নৌকার ৬ চেয়ারম্যানের মধ্যে থেকে একজন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি হলেন ভাগ্যবান ব্যাক্তি, ৯ নং গৌরীঘোনা ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান চেয়াম্যান এস, এম হাবিবুর রহমান হাবিব। আর একজন পুরাতন মুখ হলো, ৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুল কাদের বিশ্বাস।
১১ ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১ নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে যুবলীগনেতা শেখ অহিদুজ্জামান, ২ নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগনেতা মোঃ অলিয়ার রহমান, ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মনোজ কুমার তরফদার, ৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মোঃ সামছুর রহমান, ৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুল কাদের বিশ্বাস, ৬ নং কেশবপুর সদর ইউনিয়ন থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য গৌতম রায়, ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়ন থেকে মোঃ জসীম উদ্দীন, ৮ নং সুফলাকাটি ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মনি, ৯ নং গৌরীঘোনা ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান চেয়াম্যান এস, এম হাবিবুর রহমান, ১০ নং সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মোছা শামছুন্নাহার বেগম, ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ তৌহিদুজ্জামান।
বর্তমান ১ নং ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিছুর রহমান, ২ নং সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, ৭ নং পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মুকুল, ৮ নং সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ, ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামছুদ্দীন দফাদার পুনরায় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
পাশাপাশি গত ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম সরোয়ার, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক বি এম ইব্রাহিম হোসেন, সদর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাৎ হোসেন ও হাসানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহিদুজ্জামান শাহীন এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ১১ ইউনিয়নে নৌকার মাঝিদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করার পর তারা শোকে দুঃখে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন। এমনকি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষনার কথাও জানা গেছে। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েেছেন।
 উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থক ইবাদুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা নেই এবং দলীয় কোন পদে নেই এমন অনেককেই দেয়া হয়েছে নৌকা প্রতীক। ত্যাগী নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের যোগ্য অনেক নেতাই মনোনয়ন না পাওয়ায় এ উপজেলা থেকে নৌকা প্রতীকের অনেক প্রার্থী পরাজিত হতে পারেন।
উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামছুদ্দীন দফাদার বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। কিন্তু দল থেকে আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে এ ইউনিয়ন থেকে ৪ বারের বিদ্রোহী প্রার্থী মশিয়ার রহমানের বোন শামছুন্নাহার বেগমকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছে । যার এলাকায় জনপ্রিয়তা এবং কর্মী সমর্থক নেই। ক্ষোভ ও হতাশা থেকে নিজেকে বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছি’। পাঁজিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘দলের কোন পদ-পদবীতে নেই এমন ব্যক্তিকে এ ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে । এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দারুণ অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মনোনয়নের বিষয়ে নির্বাচনী পর্যক্ষেকদের অভিমত- বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যে সকল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচএম আমির হোসেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখেন তাদের অধিকাংশরা মনোনয়ন পাননি।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রত্যেক ইউনিয়নে অঙ্গিকারনামা দেওয়া হলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে বিপর্যয় ঘটতে পারে।