ঊষার আলো ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গরম পানিতে পুরো শরীর ঝলসে যাওয়া সেই গৃহবধূ রুমী বেগম মারা গেছেন। ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত ২৩ মার্চ রাতে যৌতুক নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া সৃষ্টির এক পর্যায়ে স্বামী আনোয়ার মিয়া তার স্ত্রী রুমী বেগমের উপর গরম পানি ছুরে মারেন। এতে করে রুমী বেগমের পুরো শরীর ঝলসে যায়। পরে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখান হতে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। সেখান হতে পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়ে।
এই ঘটনা ঘটে উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে। সেই রাতেই পুলিশ গৃহবধুর স্বামী আনোয়ার মিয়া ও শ্বশুড় ইউসুফ মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছিল। এই ঘটনার পর গৃহবধুর ভাই আশরাফ হোসেন বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন।
গৃহবধূর ভাই আজারুল বলেন, আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা হতে তার লাশ শ্রীমঙ্গলে নিয়ে আসা হবে এবং গ্রামের বাড়ীতেই তাকে দাফন করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, আমরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিমের স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছিলাম। রুমী বেগম মারা যাওয়ার দরুণ মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। মৃরদেহের সুরতহাল রির্পোট এবং ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)