UsharAlo logo
রবিবার, ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী

ঊষার আলো
জানুয়ারি ১০, ২০২২ ১২:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ক্রীড়া প্রতিবেদক: রহমতগঞ্জকে ইতিহাস সৃষ্টি করতে দিল না আবাহনী লিমিটেড। পুরান ঢাকার ক্লাবটির স্বপ্ন ভেঙে স্বাধীনতা কাপের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপাও জিতে নিয়েছে আকাশি-হলুদ শিবির।

রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আবাহনী ২-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। এবার তাদের চোখ ট্রেবলে। মৌসুমের প্রথম দুটি শিরোপা এখন তাদের ঘরে। প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি জিততে পারলেই পূর্ণ হবে ট্রেবল-স্বপ্ন।

স্টেডিয়ামের উত্তর গ্যালারিতে ক্লাবের ছোট ছোট পতাকার সঙ্গে ছিল বড় ব্যানারও। যেখানে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘অভিনন্দন’। একঝাঁক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন রহমতগঞ্জের নানা বয়সের সমর্থকরা। ম্যাচের পুরো সময়ই তারা মাতিয়ে রাখে স্টেডিয়াম। কিন্তু সেই উৎসবের আবহ পণ্ড করে দেন দানিয়েল কলিনদ্রেস। দুই বছর আগে যে কলিনদ্রেস জাদুতে প্রথমবারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছিল রহমতগঞ্জের, সেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবারও পুরান ঢাকার ক্লাব সমথর্কদের হৃদয় ভেঙেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ড। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংসকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন কলিনদ্রেস। এবার জার্সি বদলে জেতালেন আবাহনীকে। অন্যদিকে নতুন মৌসুমে বদলে যাওয়া আবাহনী সমর্থকরা ঢাকঢোল পিটিয়ে শিরোপা উৎসব করেছেন।

ইনজুরির কারণে ফাইনালে ছিলেন না আবাহনীর দুই বিদেশি রাফায়েল অগাস্তো এবং ডরিয়েলটন।কিংসের বিপক্ষে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে এ দুই বিদেশির সঙ্গে কলিনদ্রেস জাদুতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। কাল রাফায়েল ও ডরিয়েলটন না থাকায় শুরুতে কিছুটা এলোমেলো ছিল মারিও লেমোসের দল। তবে সময়ের সঙ্গে গুছিয়ে ওঠে তারা। রহমতগঞ্জের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবাও খুব একটা কারিশমা দেখাতে পারেননি। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে রাকিব হোসেনের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পালটে চলে যায় কলিনদ্রেসের কাছে। বক্সের মাথা থেকে বাঁ-পায়ের প্লেসিং শটে রহমতগঞ্জের জাল কাঁপান তিনি (১-০)। ৬৪ মিনিটে কলিনদ্রেসের পাস খুঁজে নেয় নুরুল নাঈম ফয়সালকে। তার শট রহমতগঞ্জের গোলকিপার রাকিবুল হাসান তুষার ফিস্ট করলেও চলে যায় বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো রাকিবের কাছে। ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং শটে গোল করেন তিনি (২-০)। দ্বিতীয় গোল হজম করলেও হাল ছাড়েনি রহমতগঞ্জ। ৫ মিনিট পর ফিলিপ আদজাহ এক গোল পরিশোধ করলে জমে ওঠে ম্যাচ (১-২)। তবে এবার আর সেমিফাইনালে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেনি রহমতগঞ্জ। ম্যাচ শেষে দানিয়েল কলিনদ্রেস বলেন, ‘আমি সুযোগ পেয়েছি এবং তা কাজে লাগিয়েছি। আবাহনীতে এবং বাংলাদেশে আমার ভালো সময় কাটছে। টানা দুটি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলাম। আমার ক্যারিয়ারে এটা প্রথম। আমি খুব আনন্দিত।’ আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসও খুশি শিষ্যদের শিরোপা জয়ে।