UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পর্যটকদের উদাসীনতা

usharalodesk
জানুয়ারি ১৬, ২০২২ ২:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট:  বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে ভিড় করেছেন লাখো পর্যটক। করোনা ও ওমিক্রম সংক্রমণ বৃদ্ধির মাঝেও মাস্ক পরা বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন পর্যটকরা। তবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটকদের সচেতন করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কিন্তু মাইকিং কানেই তুলছে না অনেকেই।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) হঠাৎ পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। তাই অন্যদিনের চেয়েও সৈকত শহর কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন বেশি। উৎসবমুখর রয়েছে সাগরতীর। তবে পর্যটকরা কেউ মানছেন না করোনার স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক পরা নিয়ে পর্যটকদের রয়েছে চরম অনীহা। দিচ্ছেন নানা অজুহাত।

কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক বিকাশ মারমা বলেন, ‘মাস্ক নিয়ে আসছিলাম। এখন পানিতে নামব, তাই ফেলে দিয়েছি। পানিতে নামলে তো মাস্কটা ভিজে যাবে। পরে মাস্ক কিনে পরব।’

রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মাস্ক পরা বিষয়টা অনীহা নয়। বিষয়টা হচ্ছে, বাসা থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছি। এটার জন্য কক্সবাজার ছুটে আসা। এখন স্বাস্থ্যবিধি বা মাস্ক ব্যবহার কেউ মানছেন না।’

পর্যটক শামসুল আলম বলেন, ‘মাস্ক সামনে আছে, সামনে গিয়েই পরব। বন্ধুরা সবাই মিলে সৈকতে আসছি, কেউ সামনে চলে গেছে, তাদের হাতে মাস্ক রয়েছে। একটু সামনে গিয়ে তাদের খুঁজে মাস্ক নিয়ে ব্যবহার করব।’

আরেক পর্যটক হিমেল বলেন, ‘এখন তো সৈকতে উৎসব চলছে। এই উৎসবে আমাদের তো সচেতনতা অনেক কম, আগের মতো নেই বললেই চলে। তারপরও চেষ্টা করব মাস্ক ব্যবহার করে সুরক্ষিত থাকতে। কারণ, আমরা সুরক্ষিত থাকলে দেশও সুরক্ষিত থাকবে।’

এদিকে রোববার সরজমিনে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা যায়, কয়েক হাজার পর্যটক এসব পয়েন্টে ভিড় করেছেন। পর্যটকরা সৈকত, পানি, বালিয়াড়ি ও কিটকটে (ছাতায়) বসে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে রয়েছেন। আর তাদের আনন্দ ও হৈ-হুল্লোড়ে হার মেনেছে করোনার স্বাস্থ্যবিধি।

কেউ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক ব্যবহারের বিধিনিষেধ। যারা মাস্ক ব্যবহার করে সৈকতে নেমেছেন তারাও কিছুক্ষণ পর সৈকতের বালিয়াড়িতে ফেলে দিচ্ছেন ব্যবহৃত মাস্কটি। বালিয়াড়িতে শ শ ব্যবহৃত মাস্ক পড়ে থাকতে দেখা যায়।

লাইফগার্ড কর্মী সাইফুল ইসলাম জানান, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লাইফগার্ডের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পর্যটকদের মাস্ক ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করি। কিন্তু যেসব পর্যটক সৈকতে মাস্ক পরে আসেন তারা ওই মাস্ক ব্যবহার করে সৈকতেই ফেলে যান। যে কারণে সৈকতের বালিয়াড়ি নোংরা হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা করি, বালিয়াড়ি থেকে ব্যবহৃত মাস্কটি তুলে ডাস্টবিনে ফেলার।

এদিকে ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১টি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বাস্তবায়ন ও করোনার সংক্রমণরোধে সৈকতে অভিযানে নামে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের চার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মুহূর্তেই পাল্টে যায় সৈকতের চিত্র। ধুম পড়ে সৈকতে আগত পর্যটকদের মাস্ক কেনার। চারটি পয়েন্টেই যারা সকাল থেকে মাস্ক ব্যবহার করেননি, তারা মাস্ক কিনে ব্যবহার করতে শুরু করেন।

কক্সবাজার টুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন জানান, পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।