UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ১

koushikkln
এপ্রিল ৬, ২০২১ ১১:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: সুমিত পালের ওপর হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বদিউজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল)  খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার একটি টিম বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জেন উপজেলায় কালিকাবাড়ী গ্রামে এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। এ সময় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় শিকার ডা: সুমিত পাল বাদী হয়ে ২ জনকেসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

খুমেক হাসপাতালের আরএমও ও ফোকাল পার্সন করোনা ইউনিট ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মেডিকেল অফিসার ডা: সুমিত পালের হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছেন সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ। তিনি বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়ে করোনা রোগীদের হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে। ডাক্তারদের ওপর হামলা ঘটনাটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইনগতভাবে এটি দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

খুমেক হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে মেডিকেল অফিসার ডা: সুমিত পাল জানান, গত ৩ এপ্রিল রাত্রিকালীন ডিউটি রোস্টারের দায়িত্ব পালন করছিলাম। ওই দিন বিকেলে করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধ রফিকুল ইসলামকে ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডের ৪নং বিছানায় ভর্তি হন। ওই দিন রাত ৯টা ২৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ডা: সুমিত পাল বলেন, ওই রোগীর মৃত্যু সনদ লিখতেছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে উক্ত রোগীর দুইজন ছেলেসহ আরো ২/৩ জন আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা  তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গালিগালাজসহ তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, চড় এলোপাতাড়িভাবে তারও ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাসপাতালের স্টাফ নার্সসহ এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।

খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: সুমিত পালের ওপর হামলার ঘটনায় ডাক্তার নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিদের ধরতে একটি চৌকস টিম বাগেরহাটে মোড়েলগঞ্জে গিয়ে অভিয়ান চালান। ওই সময় অভিযানে হামলার সাথে জড়িতথাকার অভিযোগে বদিউজ্জামান এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। অভিযানে মৃত ব্যক্তির দুই ছেলে পালিয়ে যান। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।