UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রন, রেস ও পিম্পের জন্য বিউটি টিপস

usharalodesk
এপ্রিল ৬, ২০২১ ১১:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রোদেলা জুঁই : ব্রণ বর্তমান সময়ের একটি কমন সমস্যা। সাধারনত বিশ বছর বয়স থেকে মুখে ও পিঠে ব্রণ সমস্যা দেখা যায়। মুখের ব্রণ ছোট-মাঝারি হালকা লাল ও সাদাটে, পুঁজ জমে ব্যাথা হয়ে থাকে। আজ রোদেলা জুঁই বলছে কিভাবে অল্প সময়ে খুব সহজেই মুখের দাগসহ ব্রণ দূর করার উপায়।
ব্রণ বা ফুসকুড়ি নিয়ে চিন্তিত? ঠিকঠাক চিকিৎসায় ব্রণ বা ফুসকুড়ির হাত থেকে মুক্তি মেলে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য যেসব ওষুধ বা ক্রিম বাজারে উপলব্ধ সেগুলি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই তা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থেকে যায়। ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হল অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্রণ শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। তাই স্ক্রাবিং পুরো দেহের জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়েও এই ধরনের সমস্যা দূর করা যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই সমস্ত কার্যকরী ঘরোয়া উপায় কী কী।
যাদের স্কিনে ব্রন, রেস ও পিম্পেল আছে তাদের জন্য বলছি নিমপাতা, কাচা হলুদ আর লবঙ্গ একসাথে বেটে পেস্ট করে সপ্তাহে ৩/৪ দিন প্যাক এর মতো করে লাগাতে হবে এবং ১০/১৫ মিনিট স্কিনে রাখতে হবে ৭ দিনেই ভালো ফল পাবেন।
এছাড়া পাকা পেঁপে চটকে নিন (এক কাপের মতো)। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ গোটা শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।

পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সঙ্গে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে।
পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলি দূর করতেও পুদিনা পাতা খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন
লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে এটি খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নিমপাতা খুব ভাল জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ধনেপাতাও ব্রণ সারাতে খুবই কার্যকর। ধনেপাতা বেটে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
১ লিটার জলতে ২৫০ গ্রাম টাটকা নিমপাতা জ্বাল দিন। জলর পরিমাণ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই জল পান করলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

(ঊষার আলো-এমএনএস)