UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উন্নত জাতের ঘাস চাষ করে সফল পাইকগাছার মোহাম্মদ আলী

koushikkln
এপ্রিল ৯, ২০২১ ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মো. আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা : পাইকগাছায় উন্নত জাতের ঘাস চাষ করে সফল হয়েছেন মোহাম্মদ আলী গাজী। বর্তমানে তার ৮বিঘা জমিতে উন্নত জাতের ঘাস রয়েছে। নিজের খামারের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত ঘাস বিক্রয় করে বাড়তি আয় করছেন মোহাম্মদ আলী। মোহাম্মদ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড গোপালপুর গ্রামের মৃত আমির আলী গাজীর ছেলে। মোহাম্মদ ব্যক্তিগত কৃষক পরিবারের সন্তান এজন্য কৃষির প্রতি তার আলাদা একটা টান রয়েছে। কৃষি কাজের মাধ্যমে কিভাবে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায় এবং এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায় এনিয়ে সব সময় সব সময় চিন্তা ভাবনা করতে থাকে মোহাম্মদ। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিজের বসত বাড়ির সাথেই লামিয়া ডেইরি ফার্ম নামে একটি খামার করেন। বর্তমানে তার খামারে ৩২টি গাভী রয়েছে। নিজের খামারের ঘাসের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রথমে তিনি ১বিঘা জমি ইজারা নিয়ে উন্নত জাতের ঘাস চাষ শুরু করেন। ঘাসের উৎপাদন ভালো হওয়ায় ঘাস চাষ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নেয় মোহাম্মদ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এলাকায় বছরে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হারি হিসেবে ৮বিঘা জমি লীজ নিয়ে নেপিয়ার, পাকচং সহ ৩ ধরণের উন্নত জাতের ঘাসের আবাদ করে। নিজের খামার থাকায় ঘাস চাষে সম্পূর্ণ জৈব সার ব্যবহার করায় বর্তমানে তার ৮ বিঘা জমিতে ঘাসের ভালো উৎপাদন হয়েছে। প্রতিদিন মোহাম্মদ ও তার পরিবারের পাশাপাশি কমপক্ষে ৮ জন শ্রমিক কাজ করে খামার ও ঘাস পরিচর্যার কাজে। নিজের খামারের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি ঘাস বিক্রি করে বাড়তি আয় করছে মোহাম্মদ। হাঁট বাজার ও এলাকার বিভিন্ন স্থানে ১০ টাকা আটি দরে ঘাস বিক্রি হয়ে থাকে। মোহাম্মদকে অনুসরণ করে এলাকার অনেকেই ঘাস চাষে এগিয়ে এসেছে। ঘাস চাষ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলী গাজী জানান ভ্যাটেনারী সার্জন ডাঃ পার্থ প্রতীম রায় এর পরামর্শে খামার ও ঘাস চাষ করার জন্য উৎসাহিত হয়। আমার নিজের খামারের জন্য প্রতিদিন দেড় হাজার টাকার ঘাসের প্রয়োজন হয়। আমি যদি ঘাস চাষ না করতাম প্রতিদিন এই টাকার ঘাস কিনে খামার করা সম্ভব হতো না। আমাকে দেখে এলাকার অনেকেই ঘাস চাষে এগিয়ে এসেছে। প্রশিক্ষণ সহ সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে ঘাস চাষে সাধারণ কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হতো এবং এলাকার উৎপাদিত ঘাস দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ বৃদ্ধি পেত বলে মনে করছেন এলাকার কৃষকরা। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান কৃষি আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। এই করোনাকালীন সময়ে অনেক কিছু স্থবির হয়ে পড়লেও কৃষি আর্থ-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি বলেন কৃষির এখন বহুমুখী সম্প্রসারণ ঘটেছে। সনাতন চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষিকাজে কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। মোহাম্মদ আলী গাজীর ন্যায় ঘাস চাষ সহ প্রযুক্তি নির্ভর কৃষিকাজে যারা এগিয়ে আসবে তাদেরকে সরকারি ভাবে সর্বাত্বক সহযোগীতা করা হবে বলে ইউএনও খালিদ হোসেন আশ্বাস দেন।