ক্রীড়া ডেস্ক : পাকিস্তানের কয়েক’শ নারী শিখছে মার্শাল আর্ট। হাজারা গোষ্ঠীর এই নারীরা এখন জানে, কিভাবে সাইড কিক দিয়ে কিংবা কনুই বাঁকিয়ে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করা যায়।
দেশটির শিয়া মুসলমানদের একটি অংশ হলো হাজারা। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে দুটি আলাদা বসতি রয়েছে বসবাসকারী এই হাজারাদের। তাদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে চেকপয়েন্ট ও সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। এরপরেও বিভিন্ন সময়ে তারা সাম্প্রদায়িক আক্রমণের শিকার হয়। তা ছাড়া হাজারা নারীরা প্রতিনিয়তই পুরুষের হয়রানির শিকার হয়।
শিক্ষার্থী নারগিস বাতুল বলেন, ‘আমরা কারাতের মাধ্যমে বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ করতে না পারলেও আত্মরক্ষা করতে পারব। আমি কারাতে শেখার মাধ্যমে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়েছি। আমি ক্লাবগুলোতে যাই। তাই যখন ক্লাস শেষে আমি বের হয়ে আসি আমাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।’
বেলুচিস্তানের উশু কুং ফু অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ইশহাক আলী জানান, কোয়েটায় প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষকে এই কারাতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ২৫টির বেশি ক্লাব। শহরটির বড় বড় দুটি একাডেমির প্রতিটিতে ২৫০ জনের মতো নারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। আর এই ২৫০ জনের মধ্যে হাজারা নারীর সংখ্যাই বেশি।
১ বছর বয়সী ফিদা কয়েক বছরে এ পর্যন্ত কয়েক শ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি লাহোরের পূর্বাঞ্চলীয় একটি শহর থেকে এক চীনা মাস্টারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি সপ্তাহে ছয় দিন দুই ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ দেন। বিনিময়ে তিনি ৫০০ রুপি করে প্রশিক্ষণ ফি নেন। তবে যাঁরা জঙ্গি সহিংসতায় পরিবারের সদস্যের কাউকে হারিয়েছেন তাঁরা বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ পান।
আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কৃতিত্ব অনেকটাই নারগিস হাজারা ও কুলসুম হাজারার। তাঁরা জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এ পর্যন্ত অনেক পদক অর্জন করেছেন এবং অনেক নারীর জন্য অগ্রদূত হয়ে উঠেছেন।
(ঊষার আলো-এমএনএস)