বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজী করার সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগে মোঃ সোহরাব হোসেন (৪৮) ও মোঃ মাসুদ রানা ওরফে ভুট্টো (৩৯) নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আর বাবুল খান নামের অপর একজন পালিয়ে গেছে। এদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আটক দুজন কে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। রবিবার রাতে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার মসজিদ এলাকা থেকে দুজন কে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। আটক সোহরাব হোসেন বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং মাসুদ রানা ওরফে ভুট্টো একই এলাকার আনোয়ার হোসেন তালুকদারের ছেলে। ঘটনাটি বাগেরহাট পুলিশ প্রথমে গোপন করার চেষ্টা করলেও পরে তা জানাজানি হয়। আর এ ঘটনা নিয়ে গোট বাগেরহাট শহরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার শরণখোলা উপজেলা থেকে সোনিয়া খাতুন নামের এক মেয়েকে মটরসাইকেল যোগে বাগেরহাট শহরে নিয়ে আসে মেয়েটির দুঃসম্পর্কের চাচা শরণখোলার উপজেলার ছৈলাবুনিয়া এলাকার দর্জি দোকানদার মোঃ ইউসুফ আকন। জেলা শহরের রেলরোডস্থ একটি আবাসিক হোটেলের সামনে দাড়ানো অবস্থায় সোহরাব হোসেন, মাসুদ রানা (ভুট্টো) ও মোঃ বাবুল খান নামের তিন ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদেরকে ইজিবাইকে তুলে শহরতলীর দশানি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে কতিথ ডিবি পুলিশ বিকাশের মাধ্যমে ২১ হাজার টাকা গ্রহন করেন। পরে আরও টাকা দাবি করে মোঃ ইউসুফ আকনের কাছে। ইউসুফ আকন তার ভাইয়ের কাছ থেকে নিজ বিকাশ এ্যাকাউন্টে আরও ১০ হাজার টাকা আনেন। কিন্তু ইউসুফ আকনের মুঠোফোন থেকে টাকা ক্যাশ করা সম্ভব নয় বলে জানান বিকাশ ব্যবসায়ীরা। এসময় আসামীরা ইউসুফ আকনকে চরথাপ্পর মারে। ইউসুফের সাথে থাকা মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়। সিম ফেলে দিয়ে ইউসুফের মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা। পরে ইউসুফকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ইউসুফ আকন নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দুই জনকে আটক করেছি। নিয়মিত মামলা হয়েছে। আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহার নামীয় ৩নং আসামী মোঃ বাবুল খানকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(ঊষার আলো-আরএম)