UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় রোহিঙ্গাদের ঈদ উদযাপন

koushikkln
মে ৩, ২০২২ ১১:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষারআলো ডেস্ক: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন রোহিঙ্গারা। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত নিজেদের সবচেয়ে ভালো পোশাকটি পরেই নামাজ আদায় করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় একযোগে ক্যাম্পের ৩৪টি মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে রোহিঙ্গারা তাদের হারানো অধিকার ও ভিটেবাড়ি ফিরে পেতে দোয়া করেন। এ সময় সময় অনেক রোহিঙ্গা আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ওঠেন। ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন তারা।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরের ৩৪টি মসজিদে একযোগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের প্রবেশ মুখে বিশেষ তোরণ তৈরি করা হয়। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গারা আনন্দের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। ঈদের আনন্দ সুন্দরভাবে ভাগাভাগি করতে সেখানে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বাড়তি আনন্দ দিতে ঈদমেলার আয়োজন করা হয়।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন, একাদশ দফায় ১ হাজার ৬৫৫ জন, দ্বাদশ দফায় ২৯৮২ জন ও ত্রয়োদশ দফায় প্রথম অংশে ৩৫৩২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়। জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ঐ চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।