UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এত মুভমেন্ট পাস পেলো কারা?

usharalodesk
এপ্রিল ১৫, ২০২১ ১১:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : রাস্তায় বের হয়ে অনেকেই পুলিশি জেরার মুখে পড়ছেন। শুরুতে জরুরি প্রয়োজন বললেও পরে আর যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছেন না। কখনো ঘুড়ি কিনতে, কখনও বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলছেন তারা। এমনকি লকডাউনে বের হওয়া যাচ্ছে কিনা সেটা দেখতেও বের হচ্ছেন অনেকে। মুভমেন্ট পাস পাওয়া যাচ্ছে না বেশিরভাগ মানুষের কাছেই। আর তাই প্রশ্ন উঠেছে, তিন লাখেরও বেশি মুভমেন্ট পাস নিলো কারা?
লকডাউনে ঘরের বাইরে বের হওয়ার জন্য মুভমেন্ট পাস পেতে এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রায় ১৬ কোটি বার হিট হয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন চার লাখ ৯৭৭ জন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাস ইস্যু হয়েছে তিন লাখ ১৬ হাজার ৮০১টি।
বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে কল্যাণপুর যাচ্ছিলেন রনি। পুলিশের জেরার মুখে জানান, বেশ কয়েকবার মুভমেন্ট পাসের জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পাননি। তার বের হওয়ার কারণ নিয়ে দ্বিমত ছিল পুলিশের। তাই তাকে বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।
গাড়িতে গ্যাস নিতে বের হয়েছিলেন জাকির হোসেন। রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে পড়েন জেরার মুখে। বলেন, গাড়িতে গ্যাস ভরে রাখতে বের হয়েছেন। তার কাছে ছিল না মুভমেন্ট পাস। তারপরও বিভিন্ন যুক্তি দেখাচ্ছিলেন। শেষে কিছুতেই ছাড় পেলেন না। তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে।
রেদওয়ান বের হয়েছিলেন বাবার মাছের আড়তে যেতে। তার কাছেও ছিল না মুভমেন্ট পাস। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিশেষ কোনও কারণ দেখাতে পারেননি। শুধু বললেন কয়েকবার চেষ্টা করেছেন পাসের জন্য। কারিগরি জটিলতায় পাননি।
মোটরসাইকেলে যারা আরোহী নিয়ে চলাফেরা করছেন তাদের চেকপোস্টে জেরার মুখে পড়তেই হচ্ছে। দেখা গেল চেকপোস্টের আগেই আরোহী নেমে যাচ্ছেন। মোটরসাইকেল চেকপোস্ট পার হওয়ার পর আবার উঠে পড়ছেন। পুলিশের সঙ্গে যেন লুকোচুরি খেলছেন তারা।
রাজধানীর গাবতলীতে সকালে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। আদালতের নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া কয়েকজনকে জরিমানা করেন তিনি। এসময় ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন। যৌক্তিক কারণ দিতে পারছেন না। মুভমেন্ট পাসও নেই। কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে দারুসসালাম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট তন্ময় দাস বলেন, জরুরি সেবার আওতায় ব্যাংকার, গার্মেন্টস কর্মী ও চিকিৎসা ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যারা রয়েছেন তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে না। অনেকেই বিনা কারণে রাস্তায় বের হচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে যা খুবই দুঃখজনক।
এত মুভমেন্ট পাস তবে কারা নিলো জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যাওয়ারনেস শাখার এআইজি সোহেল রানা বলেন, এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক মুভমেন্ট পাস দেয়া হয়েছে। সেগুলো তদারকির জন্য পুলিশ সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।

(ঊষার আলো-এমএনএস)