ঊষার আলো রিপোর্ট : চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। তিনি মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাঁকে যত দ্রæত সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন ।
সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসে মেডিক্যাল বোর্ড।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তার প্রেসার ও কিডনিসহ অন্যান্য জটিলতা কমলে হার্টের বাকি দুটি বøকের চিকিৎসা শুরু করা হবে।
বোর্ডের বৈঠক শেষে দুজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক সুরক্ষায় আরো কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে আগামী এক সপ্তাহ খালেদা জিয়াকে মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎকদের সমন্বয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক। এতে লন্ডন ও আমেরিকা থেকে বিদেশি চিকিৎসকরা জুমে যোগ দেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানও ছিলেন।
জানা গেছে, বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্য বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসা হয়। আপাতত স্যুপসহ তরল খাবারই দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া তেমন কথা বলেন না। শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত।
হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়। সেখানে অধ্যাপক ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। শনিবার খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হার্টে কয়েকটি বøক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি বøক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে স্টেন (রিং) পরানো হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে তাকে পাঁচ দফা হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। এর আগে গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়া পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও অনেক দিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।