ঊষার আলো রিপোর্ট : সুতা তৈরির একটি কারখানার এক নারী শ্রমিকের পায়ুপথে কম্প্রেসর মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন তার সহকর্মীরা। শনিবার (১১ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি কারখানায়। বর্তমানে ওই নারী মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, গাজীপুরের অসুস্থ ওই নারীকে কোম্পানির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।ওই নারীর স্বজনেরা জানান, নিশ্চিন্তপুর এলাকায় সুতা তৈরি কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করেন ওই নারী।তিনি বসবাস করেন রতনপুর এলাকায়।
শ্রমিকেরা দীর্ঘসময় কারখানায় কাজ করলে তাদের শরীরে অনেক সুতা লেগে থাকে, সেই সুতা পরিষ্কার করার জন্য কারখানা থেকে একটি কম্প্রেসর মেশিন বসানো আছে। সেই মেশিন দিয়ে শ্রমিকেরা তাদের শরীরে লেগে থাকা তুলা পরিষ্কার করে থাকেন। সেদিন কাজ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার সহকর্মীদের সঙ্গে কম্প্রেসর মেশিন দিয়ে তুলা পরিষ্কার করতে যান ওই নারী।
সহকর্মীরা ওই নারীকে ধরে তার পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেন। সেখানে ওই নারীর একজন পুরুষ ও দুজন নারী সহকর্মী মিলে এ কাজ করেন।ওই নারীর ভাই সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমার বোন দীর্ঘ ছয় বছর ধরে সুনামের সাথে সুতা কারখানায় কাজ করে। গত শনিবার গাজীপুরের একটি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে আমার বোন অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি।
সেখানে গিয়ে দেখি হাসপাতাল বেডে আমার বোন কাতরাচ্ছে। তার কাছে আর কাউকে দেখি নাই। পরে হাসপাতালের স্টাফরা বলেন আপনার বোনকে ৪ জন লোক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে কৌশলে তারা পালিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা তাকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে শনিবার রাতেই ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি আমার বোনকে পুরুষ সহকর্মীরা অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করলে সে বাধা দেওয়ায় পায়ুপথে কম্প্রেসারে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়। আমার বোন এখন হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।ঢামেক হাসপাতালে ২০০ ওয়ার্ডের পোস্ট অপারেটিভ বিভাগে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক বলেন, ওই নারীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ