UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এবারের বইমেলা আরও বড় পরিসরে

usharalodesk
মার্চ ৬, ২০২১ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : আর মাত্র পক্ষকালের থেকেও কম অপেক্ষা। এরপরই শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২১। করোনা পরিস্থিতির কারণে ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মেলা শুরু হতে যাচ্ছে ১৮ মার্চ এ। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় চেয়ে এবার আরও বড় পরিসরে বইমেলা হবে।

গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট স্থান জুড়ে। এ আয়তনটি ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ মিলিয়ে। এবার দুই প্রাঙ্গণ মিলে মেলার পরিসর হবে প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে। এই প্রসঙ্গে অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ হতে জানা যায়, এবারের বইমেলার পরিসর গতবারের চেয়েও অধিক। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব দিকের অংশে আরও অধিক সম্প্রসারিত হচ্ছে মেলা।

বাংলা একাডেমির এক সূত্র হতে জানা যায়, এবারের মেলায় ৫৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিবে। সব মিলিয়ে মেলায় স্টলের ইউনিট দাঁড়াবে ৮ শতাধিক। মোট প্যাভিলিয়ন থাকছে ৩৪টি। আগামী ৭ বা ৮ মার্চ স্টল এবং প্যাভিলিয়ন বরাদ্দের জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারি অনুযায়ী প্রকাশকদের মধ্যে প্যাভিলিয়ন এবং স্টল বুঝিয়ে দেয়া হবে।

এবারের অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্চ এবং এপ্রিল মাস জুড়ে। এই সময়টি হল ঝড়-বাদলের। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার মেলায় বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র রাখা হয়েছে। যাতে বৃষ্টি অথবা ঝড় শুরু হলে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। বৃষ্টি বা ঝড় না থাকলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো মোড়ক উন্মোচনের স্থান এবং লেখক আড্ডার জায়গা হিসাবে ব্যবহৃত হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বইমেলার থিম হল ‘হে স্বাধীনতা’। গত কয়েকবারের মতো এবারের মেলারও সার্বিক ডিজাইনটি করেছেন নির্মাতা এবং স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর।

তিনি বলেন, এবার বাস্তবতা একদম অন্যরকম। মেলা এবার ফেব্রুয়ারি নয় বরং মার্চে হচ্ছে। গরম থাকবে এবং ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, আছে করোনার ভয়ও। এ বিয়গুলোর সঙ্গে আছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কাজেই এবার অলংকরণের চাইতে ডিজাইনে মনোযোগ দিয়েছি। কারণ এবার ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কাঠামো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারপর বৃষ্টি হলে মানুষ যেন ছাউনি পায়। ব্যবস্থাপনাগুলো কীভাবে হবে সেটা চিন্তা করেই ডিজাইন করা হয়েছে। মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে মেলায় ঘুরতে পারে ওদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অংশ দিয়ে মেলাতে প্রবেশ করা যাবে সাথে রাখা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।

(ঊষার আলো-এফএসপি)