মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : কয়দিন আগে ছেলে রফিকুল ইসলামের মোবাইলে তিন হাজার টাকার বার্তা ঢুকেছে। সেই টাকা তুলতে রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে ছেলের ভ্যানে চড়ে নিকটস্থ ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং-এ রওয়ানা হন হাসিনা বেগম। ভ্যানে ওঠা মাত্রই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শতবর্ষী এই নারী।
হাসিনা বেগমের স্বামী আলেক গাজী মারা গেছেন বহু আগে। সেই থেকে উপজেলার সরসকাঠি গ্রামে ভ্যানচালক ছেলের সংসারে অভাব অনটনে দিন যায় হাসিনা বেগমের। বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুই চোখের আলো হারান তিনি। বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী তিন প্রকারের ভাতার যোগ্য হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবা অফিসের অবহেলায় বহু বছর ভাতা বঞ্চিত ছিলেন হাসিনা বেগম। অবশেষে গতবছর এই প্রতিবেদকের নজরে আসলে ‘৯৫ বছরেও জোটেনি ভাতা’ শিরোনামে হাসিনা বেগমকে নিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তখন নিউজটি নজরে আসে সাবেক ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফীর। পরে তার নির্দেশে বয়স্কভাতার তালিকাভুক্ত হন হাসিনা বেগম। মাত্র দুই কিস্তিতে সাড়ে সাত হাজার টাকা উত্তোলণ করতে পেরেছিলেন এই বৃদ্ধা। আজ (রোববার) তিনহাজার টাকা তুলতে গিয়ে মারা যান হাসিনা বেগম।
হাসিনা বেগমের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, মার একাউন্টে তিন হাজার টাকা জমা হয়েছে। সেই ম্যাসেজ পেয়ে সকালে টাকা তুলতে যাচ্ছিলাম। ভ্যানে তোলার পর আমার হাতের উপর মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
(ঊষার আলো-এমএনএস)