আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলা কারাগারের পাশে সীমানার নির্ধারিত জায়গা না ছেড়ে বহুতল ভবনের নির্মান কাজ শুরু করায় স্থানীয় জন ভোগান্তির পাশাপাশি কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। জুডিসিয়াল মুন্সিখানার সহকারী কমিশনারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বেআইনীভাবে বহুতল ভবনের কাজ বন্দের জন্য বাগেরহাট পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে স্থানীয়দের পক্ষে বাগেরহাটের প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আনোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শনিবার (১৩ আগস্ট) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা সরদার আনোয়ার হোসেন বলেন, গনপুর্ত বিভাগ সরকারী সীমানার জায়গা ছেড়ে বাগেরহাট কারাগারের ওয়াল নির্মান করেছে, পাশ^বর্ত্তি জমির মালিকরাও নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে তাদের স্থাপনা করেছে। অথচ, গোবরদিয়া খানজাহান পল্লীর সামছু তরফদারের ছেলে মিঠু তরফদার সকল নিয়ম-নীতি লংঘন করে সীমানার জায়গা না ছেড়ে কারগারের পাশেই বহুতল ভবন নির্মান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দ্বিতলভবনের ছাদ দেয়া হয়েছে। সীমানার জায়গা না ছেড়ে সকল নিয়মনীতি লঘংন করে বহুতল এ ভবন নির্মানের কাজ করায় জেলা কারাগারের নিরাপত্তা ও ভাবমুর্ত্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াত পথ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকারে কারামহাপরিদর্শক বাগেরহাট জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে আবেদন করা হলেও কোন প্রতিকার হয়নি।
জানা গেছে, মিঠু তরফদারের এক আত্মীয় সচিব হওয়ায় এখানের জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর এ বিষয়ে নীরব রয়েছে। প্রবীন ও বিজ্ঞ এই নেতা সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, কারাগারের পাশে বেআইনীভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় কারাগারের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশংকা করে বাগেরহাট কারাগারের জেল সুপার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মাদ মোজাহেরুল হক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপ-মহাপরিদর্শক গণপূর্ত বিভাগ ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবরে প্রতিবেদন দিয়েছেন। জুডিসিয়াল মুন্সিখানা থেকে সহকারী কমিশনার বাগেরহাট পৌরসভার প্রধান নির্বাহী বরাবরেও বিষয়টি প্রতিকারের জন্য বলেছেন। অথচ কোন প্রতিকার নেই। মিঠু তরফদারের আত্মীয় অজিয়ার সাহেব সচিব হওয়ায় মিঠু তার নাম ভাঙ্গিয়ে সকল অপকর্ম করে চলেছে। এ বিষয়ে প্রতিকারে কেহ আসছে না। বরং নির্মানাধীন ওই ভবনে মিঠু তরফদারের সহযোগিরা ইতোমধ্যে মাদকের আসর বসিয়ে স্থানীয়দের অতিষ্ট করে তুলেছে। তাই অন্তর জ¦লে যায়, কিন্তু কিছু করতে না পেরে উপায়ন্তর না পেয়ে জনস্বার্থে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে বৃদ্ধ বয়সে এসে এই সংবাদ সম্মেলন করছি।
তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় মিঠু তরফদারের সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।