ঊষার আলো ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর মতোই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বন্দুক হামলায় মৃত্যু। প্রতি সপ্তাহেই একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝরছে প্রাণ। এ ছাড়া আত্মহত্যার ঘটনাও কম নয়। উন্নত এ দেশটিতে জীবনের এতো অনিরাপত্তা ভাবিয়ে তুলেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের। আগামী দিনগুলো নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে তারা। বাইডেন প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরা প্রবাসী।
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে বন্দুক হামলার ঘটনা। কোনোভাবেই থামছেনা হামলা। সপ্তাহ না ঘুরতেই আবারও বন্দুক হামলার ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন পরবর্তী ক্ষোভ, বর্ণবাদ বৈষম্য, বিষণ্ণতা, মানসিক অসুস্থতা সর্বোপরি অস্ত্রের সহজলভ্যতাই অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ত্র আইন কঠোর না হওয়ায় বন্দুক হাতে তুলে ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনা যেন বেড়ে চলছে। সম্প্রতি ফেডএক্স কার্যালয় আর ইউসকনসিনে পানশালায় হামলা যার প্রমাণ মেলে।
সার্বিকভাবে বন্দুক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ৩৬০ জন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে বলে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছে। তিনি বলেছে, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ১০৬ জনের মৃত্যু হয়। কাজেই যথেষ্ট হয়েছে, এখন এসব বন্ধ করতে হবে- বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে এর কিছুই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে। কৃষ্ণাঙ্গ ছাড়াও বাদামি চামড়ার মানুষ অর্থাৎ এশিয়ানরাও এখন আক্রমণের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ একাডেমির সভাপতি প্রবাসী জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রবাসী যারা এখানে রয়েছে তারা সাংঘাতিকভাবে আতংকগ্রস্ত। আমরা দেশটির কাছে কামনা করছি বন্দুক ব্যবহার বা কেনা যেন সহজলভ্য না হয়। মানুষ যেন চাইলেই সেটি কিনতে না পারে। এ নিয়ে কঠোর নীতিমালা হলে তাহলেই সম্ভব এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট সেটিও প্রভাব ফেলছে বন্দুক হামলা বাড়ার পেছনে। মানসিক সংকটগুলোও এ জন্য দায়ী।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)