শ্যামনগর(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের অন্তাখালী গ্রামে আদিবাসী মুন্ডাদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩ জন নারী ও নরেন্দ্র নাথ মুন্ডা হত্যায় আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে শ্যামনগর উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলার সর্ব শ্রেণীর জনগণ ও বিভিন্ন সংগঠন।
সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব চত্তরে মুন্ডা সম্প্রদায় স্বার্থ সংরক্ষণ ও আন্দোলন সংগ্রাম কমিটি আয়োজিত এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে সামসের সভাপতি গোপাল মুন্ডার সভাপতিত্বে ও জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষ, বাংলাদেশ ত্রীণমূল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ফেডারেশনের সভাপতি শিপন শীল, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, লিডার্স এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, হেডের পরিচালক লুইস রানা গাইন, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবির, জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিস আলী, এএলআরডির সহকারী পরিচালক রওশন জাহান মনি, লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, আলী আশরাফ, সিডিওর পরিচালক আল ইমরান, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের পরিচালক আফজাল হোসেন, সামসের পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নিলিমা মুন্ডা, হিন্দু পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার দাশ প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, জমিদাররা মুন্ডাদের রাঁচি থেকে এনেছিলেন সুন্দরবন কেটে বসতি গড়ার জন্য। তারা বাঘ কুমিরের মুখে জীবন দিয়ে সুন্দরবন এলাকায় বসতি গড়েছেন। তারাই আজ নিজের জায়গা হারাচ্ছে। তাদের জায়গা নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। ১৯৫০ সালের প্রজাসত্ত্ব আইনে মুন্ডা সম্প্রদায়ের জমি হস্তান্তর যোগ নয় বলে আইন পাশ হয়। কিন্তু প্রভাবশালীরা মুন্ডাদের পদবী পরিবর্তন করে কৌশলে তাদের জমি হাতিয়ে নিচ্ছে। মানববন্ধন থেকে নরেন্দ্র মুন্ডার হত্যাকারীকে শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয় এবং ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে জেলা নাগরিক কমিটি, সাতক্ষীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি, ডিস্ট্রিক হিউম্যান রাইসটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক, শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম,শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরাম, লিডার্স, স্বদেশ, উত্তরণ, আইন ও সালিস কেন্দ্র, এইচ আর ডি এফ, সিএসও কোয়ালিশন, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা, কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটি, বাংলাদেশ দলিত পরিষদ, সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, আদিবাসী বিষয়ক জাতীয় কোয়ালিশন, প্রভাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়।
আন্দোলনকে বেগবান করতে অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহীকে আহবায়ক ও দিপঙ্কর মন্ডলকে সদস্য সচিব করে মুন্ডা সম্প্রদায় স্বার্থ সংরক্ষণ ও আন্দোলন সংগ্রাম কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।
(ঊষার আলো-এফএসপি)