UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুকৃবি’র ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাহার দাবি শিক্ষক সমিতির 

koushikkln
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ ১০:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক :  খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (খুকৃবি) ২০২০ সালে ৭৩ জন  নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বরাবর এক আবেদনে তাঁরা এ দাবি জানান।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ তসলিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. এম এ হান্নান স্বাক্ষরিত এক আবেদনে বলা হয়,  একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রতিকূলতা থাকা সত্তে¡ও এসব শিক্ষকগণ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, গত ৩ আগস্ট  ৩৭.০০.০০০০.০৭৯.১১.২১১.১৭.২৭৬ নং স্মারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক খুকৃবির ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ আদেশ বাতিলের এক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে যে, নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৩ জন শিক্ষকের (৭ জন সহকারী অধ্যাপক ও ৬৬ জন প্রভাষক) সিলেকশন বোর্ড বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ছাড়া একই ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে গঠন করা হয়েছিল।

তাঁরা বলেন, খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয় আইন ২০১৫ মতে কেবল অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগের বাছাই বোর্ডে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ সদস্য রাখার বিধান রয়েছে, কিন্তু সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই বিধানের উল্লেখ নেই। কাজেই ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ রাখার সুপারিশটি খুকৃবি আইনের ১ম সংবিধির ৫৭৯৪ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখিত অনুচ্ছেদ ২(২) এর পরিপন্থী। তাই ওই তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের কঠোর সিদ্ধান্তটি যুক্তিযুক্ত নয়। এতে  খুকৃবির শিক্ষকবৃন্দ পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে ভীষণ বিব্রতকর সময় অতিবাহিত করছেন। ফলশ্রæতিতে তাদের পক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক পাঠদান, পরীক্ষা নেওয়া ও গবেষণা কার্যক্রমে মনোনিবেশ করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়েছে।

শিক্ষক নেতারা বলেন, একজন শিক্ষকের জীবনে সব থেকে বড় চাওয়া হলো তার সম্মান, আর সেই সম্মানটুকুই যদি না থাকে তবে একজন আদর্শ শিক্ষক তার বেঁচে থাকাকেই অনর্থক মনে করেন। আজ খুকৃবির অধিকাংশ শিক্ষকই মানসিক যন্ত্রনাকাতর সময় অতিবাহিত করছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নব প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম খুব শিঘ্রই স্থবির হয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশংকা করছি।

তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক খুকৃবির শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনাটি অতিসত্ত¡র প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের স্বাভাবিক মানসিক অবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালু রাখার দাবি করেন।