UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পানির চাপে হুমকীর মুখে সুন্দরবনের জীব-জন্তু

pial
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ ৪:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ বহাল থাকায় এবং পূর্ণিমার তিথিতে জোয়ারে সাগরে পানির উচ্চতা স্থায়ী হওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে বাগেরহাট জেলাসহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি জোয়ারের চাপে পানিতে বন প্লাবিত হওয়ায় প্রাণীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে আগস্ট মাসের পূর্ণিমায় একনাগাড়ে ৪/৫ দিন দুইদফা করে প্লাবিত হয়েছিলো সুন্দরবন।

এদিকে, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন বার বার প্লাবিত হলেও বন্যপ্রাণীদের পানি থেকে রক্ষার কার্যক্রম সরকারের পরিকল্পনাতেই আটকে আছে। এ বিষয়ে খুলনা অ লের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো সাংবাদিকদের বলেন, জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের দুবলা, কচিখালী, কটকা, নীলকমল, মোংলা বন্দর সংলগ্ন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অ ল তলিয়ে যায়। এতে বনের সুপেয় পানির পুকুরগুলো লবণাক্ত হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও বিচরণ ক্ষেত্র পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সমস্যায় পড়েছে বন্যপ্রাণীরা। সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য মাটি দিয়ে উঁচু ঢিবি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি জোয়ারে সুন্দরবন প্লাবিত হওয়ার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। জোয়ারে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার পানি প্রবেশ করায় বন্যপ্রাণী ও গাছ-পালার ক্ষতির শঙ্কার কথাও বলেন তিনি।

বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, সম্প্রতি নদীতে পানি বৃদ্ধি হতে থাকায় সুন্দরবনের প্রাণীকূল হুমকির মুখে পড়ছে। এর মধ্যে প্রানীশাবক বা বাচ্চারা অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান তিনি। অপরদিকে, অপরিকল্পিত চিংড়ী চাষ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইচ গেট অব্যবস্থাপনার কারনে উপকুলীয় জেলা বাগেরহাটের প্রায় সবত্রই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জন জবীন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় বাগেরহাট জেলা সদরের পৌরসভা ও মোড়েলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিকরা রয়েছে বিপাকে। এতে করে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা তীব্র সমালোচনায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বাগেরহাট জেলা উপ- পচিালক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে তিন দিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে । জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ৫০০-৭০০ মৎস্য ঘের ও পুকুরের মাছ। তবে ঘেরের পাড়ে ও ক্ষেতে থাকা সবজির ক্ষতি হলেও, বৃষ্টিতে আমন ধানের উপকার হবে।

(ঊষার আলো-এফএসপি)