বাগেরহাট প্রতিনিধি : সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর। কোন প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকছেন চলামান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
তবে সাধারন সদস্যপদে ঋন খেলাপীর দায়ে ২জন সহ মোট ৬ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। পরিষদের সাধারন সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে মোট ৩৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ৬ আর সাধারন সদস্য পদে ২৯ জন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে সংরক্ষিত ৩ টি আসনে ৬ জন মহিলা ও ৯টি সাধারন সদস্য পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে ২৩ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষনা করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তা বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। যাচাই-বাছাইয়ে প্রতীয়মান হয় সাধারন সদস্য পদের প্রার্থীদের মধ্যে ২ জন ঋনখেলাপীসহ একাধিক মনোনয়ন ফর্মে প্রস্তাবক ও সমর্থকদের স্বাক্ষর থাকায় মোট ৬ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করার সুযোগ পাবে। ঋণ খেলাপীর দায়ে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন শরনখোলা ওয়ার্ডের আজিজুল ইসলাম সবুজ ও মোংলা ওয়ার্ডের আরিফ ফকির এবং হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ায় ওয়াহিদুজ্জান পান্না। এবং একাধিক মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থকদের স্বাক্ষর থাকায় মোল্লাহাট ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য তাজ উদ্দিন, হাসান হায়দার মোল্লা, ও শাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বুধবার জানান, গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময় পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে শেখ কামরুজ্জামান টুকু মনোয়নপত্র দাখিল করেন। তার মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ের বৈধ ঘোষনা করা হয়।
তিনি বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হবেন। এছাড়া ঋণ খেলাপীর দায়ে ২ জন ও একাধিক মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থকদের স্বাক্ষর থাকায় ৪ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। ৬ জন সংরক্ষিত নারী ও ২৩ জন সাধারন সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে বাতিল হওয়া ৬ জন আপিল করার সুযোগ পাবে। এবারের নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলা, ৭৫টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার মোট ১ হাজার ৩৬ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান।
(ঊষার আলো-এফএসপি)