ঊষার আলো ডেস্ক : স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যতম উপকারী খাবার হচ্ছে কিশমিশ।
খালি মুখে বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি পোলাও, পায়েসসহ বিভিন্ন রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন।
বিভিন্ন খাবারে কিশমিশ যোগ করলে যেন খাবারের স্বাদও কয়েকগুণ বেড়ে যায়, এছাড়াও চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো অন্য ড্রাই ফ্রুটসের স্বাদ ভালো না লাগলে সেগুলোর সাথে কিশমিশ চিবিয়ে খেতে পারেন। আর তাতে মিলবে বাড়তি স্বাদ।
চলুন জেনে নি কিশমিশ খাওয়ার চার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. রক্তস্বল্পতায় উপকারী:
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। এর কারণে এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কিশমিশে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
২. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় উপকারী:
কিশমিশে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এই উপাদানগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। তার পাশাপাশি এগুলো সিস্টেম থেকে টক্সিন অপসারণের পাশাপাশি গাউট, আর্থ্রাইটিস, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধেও অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী:
কিশমিশে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল কার্যকলাপ হতে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আর অনেক সময় এই কার্যকলাপটি টিউমার ও কোলন ক্যান্সারের কারণও হতে পারে।
৪. ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
ত্বকের কোষকে যে কোনো ক্ষতি হতে রক্ষা করেতে অনেক উপকারী বূমিকা পালন করে কিশমিশ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন ও ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে বাধা দেয়। ফলে এটি বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যাসহ বার্ধক্যের লক্ষণ অনেকটা বিলম্ব করতে সহায়তা করে থাকে।
তথ্যসূত্র: স্টাইলক্রেজ ডটকম
(ঊষার আলো-এফএসপি)