ঊষার আলো ডেস্ক : কর্মব্যস্ততার কারণে খোদ উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা’র মনে ছিলো না যে, ১১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) তাঁর কর্মমেয়াদের দু’বছর পূর্তি। কিন্তু দুপুরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন যখন ফুল ও মিষ্টি নিয়ে উপ-উপাচার্যের কক্ষে উপস্থিত তখন অনেকটাই তিনি বিস্মিত হন। বিষয় বুঝে ওঠার আগেই উপাচার্য ফুল হাতে দিয়ে উপ-উপাচার্যের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘আজ আপনার কর্মমেয়াদের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি, তাই আমার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা’। উপ-উপাচার্য সহাস্য বদনে বললেন, ‘আমারই তো মনে ছিলো না, অনারবোর্ডের দিকেও আজ তাকাইনি’।
তিনি উপাচার্যের এই সৌজন্যে মুগ্ধ হয়ে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে বলেন, উপাচার্যের আন্তরিকতা, প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
উপাচার্য ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পারস্পারিক আস্থা, বিশ্বাস, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি এবং সুন্দর কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করে। যেকোনো কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়। সবাই আন্তরিক হলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটা পরিবার মনে করি। যে কারণে এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে শিক্ষা ও কার্যক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরও বলেন, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, আস্থা সকল কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়। আমরা এই প্রেরণাতেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামনে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি উপ-উপাচার্যের অবশিষ্ট কর্মমেয়াদ সুন্দর ও সাফল্যের সাথে অতিবাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় সেখানে একটি কমিটির সভায় অংশগ্রহণকারী সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যক্ষ অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, প্রফেসর ড. এ জে এম মঞ্জুর রশীদ, প্রফেসর সুধীর কুমার পালসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।