ঊষার আলো ডেস্ক: এগিয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। আরও ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিকাল থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিমানবন্দর।
এদিকে দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবহাওয়া পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চলের তিনটি বিমানবন্দরের উড্ডয়ন এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে উড্ডয়ন বা অবতরণ কার্যক্রম আজ ২৪ অক্টোবর বিকাল ৩টা হতে ২৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিমানবন্দরগুলো হচ্ছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার বিমানবন্দর ও বরিশাল বিমানবন্দর। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নোটাম (Notam) জারি করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে পরবর্তিতে উড্ডয়ন কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আগেই বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে দেশের বিমানবন্দরের এপ্রোন এলাকার হালকা যন্ত্রপাতি সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এয়ারলাইনগুলোকেও তাদের যন্ত্রপাতি নিরপদ স্থানে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে ঝড়ে কোনও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এদিকে দেশি এয়ারলাইনগুলো ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়েছে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়েছে নভোএয়ার। বিকাল থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ফ্লাইট বাতিল করেছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সাগর আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকেও ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিমানবন্দর সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রাখা হবে। বিমানবন্দরগুলোতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ঊআ-বিএস