UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বোর্ডের বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণয়নকারীরা শনাক্ত : তদন্ত কমিটি গঠন

koushikkln
নভেম্বর ৮, ২০২২ ১১:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণয়নকারী এবং মডারেটরদের শনাক্ত করেছে বোর্ড। তারা সবাই যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক। এবার তাদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কিমিটি করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। তবে প্রশ্নপত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে। একই শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল এবং উপকলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাসকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মডারেট করা হয়েছিল। এ কারণে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ’

কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাবে যশোর শিক্ষা বোর্ড।
এদিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও চার যাচাইকারীকে (মডারেটর) চিহ্নিত করেছে।

উল্লেখ্য, রবিবার (৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের অভিযোগটি উঠেছে। এ পত্রের একটি প্রশ্ন হলো-‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, প্রশ্নপত্রটি তৈরি করেছেন সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। যাচাইকারীরা (মডারেটর) হলেন সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন, সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কাছে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের বক্তব্যসহ সব নথিপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ’