ঊষার আলো রিপোর্ট : কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কমেছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্য মতে, ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছর। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এ শীতে সড়কে বিভিন্ন যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতার কারণে গ্রামে শহরের হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
সোমবার বেলা ১১টা অবধি শীত থাকায় গরম কাপড় পরে থাকতে দেখা যায় এ অঞ্চলের মানুষদের। অফিস আদালতে দেরিতে আসছেন অনেকেই। বিকেল গড়ালেই বইতে থাকে উত্তরের হিমেল হাওয়া। হাটবাজারে কাগজ, টিউব পুড়িয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায়। নিম্নবিত্ত মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে সাধ্যমত কিনছে গরমের কাপড়।
শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহন চালক সবাই বিপাকে পড়েছেন। সকালে তীব্র শীতেও পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে দেখা গেছে। শীতের দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকালের চেয়ে ১ ডিগ্রি কমে আজ সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারিতে তাপমাত্রা কমবে বলে জানান তিনি।
ঊষার আলো-এসএ