UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, বইছে শৈত্যপ্রবাহ

usharalodesk
জানুয়ারি ১১, ২০২৩ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। পাখিভ্যান চালক সজিব হোসেন বলেন, ঠান্ডা বাতাসের কারণে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। যাত্রী খুবই কম। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না। রাস্তায় লোকজনও কম।

শহরের বড় বাজারে কাজের সন্ধানে থাকা দিনমজুরেরা বলেন, কনকনে শীত পড়ছে সঙ্গে বাতাস আরও শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও থেমে নেই কাজ। বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। শীতে কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে অনেকেরই। বেসরকারি চাকরিজীবী ইমদাদুল হক বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়। প্রচণ্ড শীতের কারণে পায়ে হেঁটে যাচ্ছি অফিসে। এতে শরীরটা একটু গরম থাকে। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা।

মামুন নামে একজন হোটেল কর্মচারী বলেন, সকালে নাস্তার জন্য হোটেলে চাপ থাকে। এজন্য ফজরের আজানের পর থেকেই কাজের চাপ। পানি ধরলে মনে হচ্ছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি। ঠান্ডার ভয় করলে মালিক মজুরি দেবে না।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র শীতে রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগই শিশু রোগী। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে তিন থেকে চার শতাধিক বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ৩ দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৮৭ জন এবং শিশু ওয়ার্ডে ৬৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ৪শ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে।

ঊষার আলো-এসএ