UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

usharalodesk
জানুয়ারি ১২, ২০২৩ ১১:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভবিষ্যৎ নির্ধারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ভারত কর্তৃক ভার্চুয়ালি আয়োজিত ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বব্যাপি দক্ষিণের দেশগুলোর নেতৃবৃন্দকে নিজস্ব উন্নয়ন ও মানবজাতির তিন-চতুর্থাংশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সাধারণ এজেন্ডা তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে তিনি নিজ দেশের মতামত তুলে ধরেন। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান, যা সারা বিশ্বের সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে।

জি-২০ প্রেসিডেন্সি গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন যে, “এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ” মূল সুর নিয়ে অন্তর্ভুক্তি মূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য জি-২০’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের দৃষ্টি ভঙ্গিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।

প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তব্যে বিশ্বব্যাপি দক্ষিণ দেশগুলোকে ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় অংশীদারিত্বের অধিকারী একটি ঐক্যবদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভারত সবসময় সর্বজনীন ভবিষ্যৎ নির্ধারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। উদীয়মান বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে পুন:নির্মাণ, বিশ্বব্যাপি দক্ষিণের দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারীদেরকে ও সমস্বরে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান তিনি। বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করতে, বৈষম্য দূর করতে, সুযোগ সম্প্রসারিত করতে, প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন জানাতে এবং অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি বিশ্বব্যাপি দক্ষিণ দেশগুলোকে রূপান্তরিত করার জন্য সহজ, পরিমাপযোগ্য ও টেকসই সমাধানের আহ্বান জানান এবং একটি 4R কৌশল প্রস্তাব করেন ‘Respond (সাড়াপ্রদান), Recognize (স্বীকৃতিপ্রদান), Respect (সম্মান জানানো) ও Reform (সংস্কার)’: একটি অন্তর্ভুক্তি মূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক এজেন্ডা তৈরি করে বিশ্বব্যাপি দক্ষিণের দেশগুলোর অগ্রাধিকারের প্রতি সাড়া প্রদান; ‘সাধারণ কিন্তু ভিন্ন ধর্মী দায়িত্ব’ নীতিটি সমস্ত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তার স্বীকৃতি প্রদান; সকল জাতির সার্বভৌমত্ব, আইনের শাসন এবং মতভেদ ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি সম্মান জানানো এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য সংস্কারকরা।

মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন সমগ্র বিশ্ব নেতৃত্বের কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।