ঊষার আলো ডেস্ক : অবশেষে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটক নিয়ে দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ছেড়ে গেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া জাহাজ দুটি হলো এমভি রাজহংস ও এমভি পারিজাত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তক্রমে পরীক্ষামূলক আপাতত দুটি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার্থে কিছু শর্তও দেয়া হয়। সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজগুলো নিরাপদে ফিরে আসার পর অনুমতিসাপেক্ষে বাকি জাহাজগুলো চলাচল করতে পারবে।’
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস পরীক্ষামূলকভাবে অনুমতি পেয়েছে। জাহাজটি দুটির একটি ৫২৫ জন এবং অপরটি ৪১০ জন যাত্রী ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। প্রথম দিন দুটি জাহাজে করে প্রায় সাড়ে ৬০০ পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তেলের দাম বৃদ্ধিতে টিকিটের মূল্য আগের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১৫০-২০০ টাকা বাড়ানো হতে পারে। পরে তেলের দাম কমলে টিকিকের মূল্যও কমানো হবে।’
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, পর্যটন মৌসুমের আর মাত্র দু’মাস সময় বাকি আছে। এই সময়ে আমরা পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আনন্দ দিতে চাই। টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে অনেক শিক্ষার্থী ভ্রমণ করে। আবার অনেক অসচ্ছল লোকজনও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চাই। তিনি জাহাজ মালিকদের অক্ষম মানুষদের জন্য টিকিট মূল্যে বিশেষ বিবেচনার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ও নাফ নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।