জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান ৩০ জুলাই (রবিবার) সকালে খুলনার গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। তাই আমাদের বেশি করে মাছচাষ করতে হবে। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের তৃতীয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯.৮৮ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন হয়েছে। এথেকে আয় হয়েছে চার হাজার সাতশত ৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তিনি বলেন, মাছচাষে উদ্ধুদ্বকরণসহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। মাছ জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, জীবন জীবিকার সংস্থান করে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। বাংলাদেশে এক কোটি ৮৫ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাছচাষের সাথে জড়িত। কারেন্টজাল ব্যবহার করে জেলেরা যাতে ডিমওয়ালা পোনা নিধন করতে না পারে সে দিকে আমাদের সকলের সজাগ থাকতে হবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কাজ করার আহ্বান জানান মেয়র।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. খন্দকার আনিছুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আল-বেরুনী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। অনুষ্ঠানে চিংড়িচাষি প্রফুল্ল কুমার রায়, জাতীয় মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্যচাষি, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী, মৎস্য ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক, মৎস্যচাষি সমিতি, মৎস্যজীবী সমিতি ও মৎস্যখাদ্য বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।