বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পিতার সৎভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ট ভাতিজি সাদিয়া আক্তার মুন্নি অবশেষে চাচার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। স্বামী ভারতে থাকায় শিশু সন্তান নিয়ে ফুফুর বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া মুন্নি তার সৎ চাচা মোশারেফ মল্লিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রবিবার দুপুরে শরনখোলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার সোনাতলা গ্রামের ফোরকান মল্লিকের মেয়ে সাদিয়া আক্তার মুন্নি সোমবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, স্বামী মনির হোসেন গাজী
থাকেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে । স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে মুন্নির বসত ঘর চুরি করে নিয়ে যায় সৎ চাচা ও তার লোকজন। পিতার জমির পাশাপাশি জমি ক্রয় করে একটি ঘর তুলে বসবাস করে আসছিলেন মুন্নি। কিন্তু প্রতিবেশী সতালো চাচা মোশারেফ মল্লিক (৪০) তাকে ওই জমি থেকে উৎখাত করতে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করতে থাকে। চাচা ও তার লোকজন বেশ কয়েকবার মারধর এবং লাঞ্চিত করে তাকে। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে মুন্নি পার্শ্ববর্তী ফুফুর বাড়ি অবস্থান করেন। এ সুযোগে গত শুক্রবার রাতে তার ঘরের জানালা ভেঙ্গে সব মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি চাচা মোশারেফ মল্লিক (৪০), রফিকুল হাওলাদার (৪০), আসাদুল মল্লিক (৩৮), সালমা বেগম (৩৫), হেলাল হাওলাদার (২৩), শহিদুল ইসলাম সাচ্চু (৫৫) ও মঞ্জু বেগম (৪০) কে আসামী করে শরণখোলা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এলাকার মুন্নির প্রতিবেশী মোঃ আবু কালাম আকনের স্ত্রী সুখী বেগম ও কামরুল ইসলাম বলেন, মুন্নি আসলেই নির্যাতিত। স্বামী দেশে নাই তাই একা পেয়ে তার উপর অনেক হুমকি ও মারধর চালিয়েছে ওর চাচারা। চাচা আসাদুল মল্লিকের স্ত্রী রুনা বেগম মারামারির কথা স্বীকার করলেও ঘর চুরির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করেন । এ ঘটনায় শরণখোলা থানার ওসি মোঃ সাইদুর রহমান সোমবার সকালে জানান, সোনাতলা গ্রামের ঘর চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে । সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঊষার আলো-আরএম)