ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অপহৃত হওয়া ফজলুল করিম (২০) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে পাঁচদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুক্তিপণের দুই কোটি টাকা দাবিকারী মূল অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়কে (২৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আর শুক্রবার তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আনা হয়।
উদ্ধার হওয়া ফজলুল করিম নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মোহল্লা গ্রামের এম.এ কাইয়ুম মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজনগরের মলাই ঢালীর বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গ্রেফতার হওয়া তৌসিফ একই উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মিজানের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, তৌসিফ ও ফজলুল করিম পূর্ব পরিচিত। গত ২২ জুন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বাবার অসুস্থতার কথা বলে কৌশলে ফজলুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তৌসিফ। পরে অপহরণকারী তৌসিফ ভুক্তভোগীর বাবাকে ফোন দিয়ে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যারও হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় অপহৃত ফজলুলের বাবা এম.এ কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন মঙ্গলবার একই থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
মামলার পরপরই সদর মডেল থানা পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে সক্রিয় হয়ে ওঠে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল র্যাবের সহযোগিতায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী তৌসিফের অবস্থান শনাক্ত করে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার চিটাগাং রোডের শিমরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অপহরণকারী তৌসিফকে গ্রেফতার করে।
ওসি মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বাবার অসুস্থতার মিথ্যা কথা বলে ফজলুলকে কৌশলে অপহরণ করে তৌসিফ। এরপর তার পরিবারের কাছে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। গ্রেফতার হওয়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঊষার আলো-এসএ
