ক্রীড়া ডেস্ক : তামিম ইকবাল বাংলাদেশের হয়ে আর খেলবেন না। বিষয়টা গেল শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন তিনি।
তামিম অবশ্য অবসরে গেছেন বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে। যে রেকর্ডের অনেকগুলো ভাঙা হয়নি এখনও, বাকিগুলো আবার ভাঙা অসম্ভব।
তামিমের রেকর্ডগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক–
১। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের তো বটেই, দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিং জুটির বিশ্বরেকর্ড তামিম ইকবালের দখলে। ২০১৫ সালে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে মিলে ৩১২ রান তুলেছিলেন ওপেনিংয়ে। ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সে রেকর্ড ভাঙেনি এখনও।
২। বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যাটার যার নামের পাশে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি আছে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে এই কীর্তি গড়েন তামিম।
৩। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার তিনি। তার রান বাংলাদেশের হয়ে ১৫১৯২, বিশ্ব একাদশের হয়ে ৫৭।
৪। তিন ফরম্যাটে তার সেঞ্চুরি ২৫টি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ এটি, ২০ সেঞ্চুরিও নেই কারও।
৫। বাংলাদেশের হয়ে ১১৯ বার পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছেন তামিম, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ১১৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস নিয়ে দুইয়ে আছেন সাকিব আল হাসান।
৬। সব ফরম্যাট মিলিয়ে নিদেনপক্ষে ১০০০ রান করাদের মধ্যে তামিমের গড়ই সর্বোচ্চ (৩৫.৪১)
৭। ওয়ানডেতে ৮০০০ রান করেছেন, এমন বাংলাদেশি একজনই আছেন, তিনি তামিম ইকবাল। ২৪৩ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৮ হাজার ৩৫৭ রান।
৮। ওয়ানডেতে ছক্কার সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি তামিম ইকবাল। তিনি থেমেছেন ১০৩ ছক্কা নিয়ে।
৯। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান তিনি। ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৯ রানের ইনিংসটা তিনি খেলেছিলেন ১৯ বছর ২ দিন বয়সে।
১০। ওয়ানডেতে টানা পাঁচ ফিফটি করা প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার তামিম ইকবাল। টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি গড়েছেন এই রেকর্ড।
১১। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই বার ১৫০ ছাড়ানো ইনিংস আছে, এমন ব্যাটার বাংলাদেশে একজনই আছেন, তিনি তামিম ইকবাল।
১২। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানের রেকর্ড তামিমের। ৩৬ বার রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়েছেন তিনি।
১৩। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার অধীনে ৩৭ ম্যাচের মধ্যে তার দল ২১ ম্যাচে জিতেছে। সাফল্যের হার ৬০%।
ঊষার আলো-এসএ