ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ২১৬টি। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ২১৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৯২ জন।
এর মধ্যে রয়েছে রিভলবার ১১টি, পিস্তল ৬২টি, রাইফেল ১৩টি, শটগান ২৮টি, পাইপগান ৬টি, শুটারগান ২৩টি, এলজি ২০টি, বন্দুক ৩১টি, একে-৪৭ ১টি, গ্যাসগান ২টি, চাইনিজ রাইফেল ১টি, এয়ারগান ৪টি, এসবিবিএল ৫টি, এসএমজি ৫টি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ২টি ও ২টি থ্রি-কোয়াটার উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যৌথ অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড এবং র্যাব।