বিয়ে শুধু দুটি হৃদয়ের মিলন নয়, দুটি পরিবারেরও এক হওয়া। সেখানে অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক মিল না থাকলে বিবাহ বন্ধনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ঠিক যেমনটা হলো নয়াদিল্লিতে। বলিউডের একটি গানে হবু বরের কোমর দোলানোর কারণে বিয়েই ভেঙে দিলেন শ্বশুর। জানালেন, ‘আইটেম গানে’ কোমর দুলিয়ে গোটা পরিবারের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে বাড়ির হবু জামাই।সম্প্রতি ভারতে দিল্লিতে এ ঘটনা ঘটেছে। একটি পত্রিকার কাটিংয়ের এমন একটি নিউজ নেটদুনিয়া ভাইরাল হয়েছে। নেটিজনদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, বরযাত্রী নিয়ে মণ্ডপে পৌঁছান ওই যুবক। সেই সময় নাচতে হবে বলে জোরাজুরি শুরু করেন বন্ধুরা। মাইকে তখন ‘চোলি কে পিছে ক্যায় হ্যায়’ বাজছে। সেই গানেই কোমর দোলাতে শুরু করেন ওই যুবক। আত্মীয়স্বজনরাও তাকে উৎসাহ দিতে থাকেন।
কিন্তু ওই গানে হবু জামাইকে নাচতে দেখে মারাত্মক রেগে যান কনের বাবা। বিয়ে হবে না বলে তৎক্ষণাৎ ঘোষণা দেন তিনি। যুবক যে আচরণ করেছেন, তাতে পরিবারের মর্যাদা ধুলোয় মিশে গেছে বলে জানান। এমন পরিস্থিতিতে হকচকিয়ে যান সবাই। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন কনের বাবা। অঝোরে মেয়েকে কাঁদতে দেখেও নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকেও কনের বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু কারো কথাই আমলে নেননি তিনি। কনেসহ পরিবারকে নিয়ে মণ্ডপ ত্যাগ করেন তিনি।
পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ওই যুবক এবং তার পরিবারের সঙ্গে কোনো রকম সমঝোতায় আসতে নারাজ কনের বাবা। মেয়ের সঙ্গে ওই যুবক বা তার পরিবারের কেউ যাতে যোগাযোগ করতে না পারেন, সেই মতো কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কোনো মতেই ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের মধ্যেও চলছে তুমুল তর্ক-বিতর্ক।
কারো মতে, কনের বাবা একেবারে ঠিক কাজ করেছেন। এখন কড়া সিদ্ধান্ত না নিলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতো বলে মত তাদের।
আবার উল্টো অবস্থান নিতেও দেখা গিয়েছে অনেককে। তাদের মতে ‘চোলি কে পিছে’ বাজলে না নাচাই অস্বাভাবিক। নিজের বিয়েতে নাচবেন না-ই বা কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
তবে ভারতে মণ্ডপে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গতবছর উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলিতে এক যুবক নিজের বিয়ে নিজেই ভেঙে দেন। খাবার পরিবেশনে দেরি হওয়ায় বিরক্ত হয়ে তিনি বিয়ে ভেঙে দেন বলে জানা যায়। পরদিন আবার নিজের কাজিনকে বিয়ে করেন তিনি। তখন কনের পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা কর হয়। মামলায় বলা হয়, বিয়ের আয়োজন করতে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, সেই টাকা ওই যুবককে দিতে হবে।
ঊষার আলো-এসএ