মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে হামলার মাধ্যমে ‘আমরা ইসরাইলের প্রতি সব হুমকির অবসান ঘটিয়েছি’। তবে তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই কোনো তাত্ক্ষণিক হুমকির মুখে ছিল কিনা, যা এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী বৈধতা দিতে পারত।
শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল বিমান হামলা চালানোর পর ট্রাম্প তার বক্তব্যে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘ইরান হলো মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসী-প্রবণ চক্রের কেন্দ্র, যারা ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’ বলে চিৎকার করে বেড়ায়।’
কিন্তু কিম্বারলি হালকেট বলেন, ‘এ ধরনের স্লোগান, যতই ঘৃণামূলক হোক, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাত্ক্ষণিক সামরিক হুমকি প্রমাণ করে না।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘অনেক মানুষ ইরানের ঘৃণার কারণে মারা গেছে’। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, এদের মধ্যে আমেরিকানরা ছিলেন কি না।
তিনি জানান, বর্তমানে আরও হামলার পরিকল্পনা নেই। তবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—
‘ইরান যদি আবার আলোচনার টেবিলে না ফেরে বা পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে চুক্তি না করে, তাহলে ভবিষ্যতের হামলা হবে আরও বড় এবং আরও সহজ।’
এরপরেই ট্রাম্প তার সবচেয়ে বিতর্কিত বক্তব্যটি দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের প্রতি সব হুমকি মুছে দিয়েছি।’
কিন্তু তিনি এটা বলেননি যে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি সরিয়েছি।’ আর এটিই মূলত অনেক আমেরিকান নাগরিকের জন্য উদ্বেগের বিষয়। কারণ তাদের মতে, এই পদক্ষেপ ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেও যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যের আরও একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষে টেনে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে মার্কিন সেনা এবং অর্থনৈতিক সম্পদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
ঊষার আলো-এসএ