ঊষার আলো রিপোর্ট : সাত মাস পর উদঘাটন হলো চট্টগ্রামের জোড়া খুনের রহস্য। আসামিরা ২৭ বার মোবাইল সিম পরিবর্তনের কারণে তাদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাভার্ডভ্যানের মালামাল চুরি করতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় ভ্যান চালক রিয়াদ ও হেলপার আলীকে। ৭ মাস পর পুলিশ উদঘাটন করেছে কাভার্ডভ্যানে থাকা মিরাজ, সুজন ও বাবুল এই ৩ জন মিলে নির্মমভাবে গলা কেটে তাদের হত্যা করেছে।
গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই এলাকা থেকে এ ৩ জন মালামাল চুরির উদ্দেশ্যে কাভার্ডভ্যানে উঠে। একপর্যায়ে সুজন ও বাবু মিলে ছুরি দিয়ে চালক রিয়াদ ও হেলাপার আলীকে গলা কেটে হত্যা করে। আলীর লাশ জোরারগঞ্জে এবং রিয়াদের লাশ হালিশহর রিং রোডে ফেলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৭ মাস পর একটি পরিত্যক্ত কাভার্ডভানের সূত্র ধরে পতেঙ্গা ও আকবরশাহ এলাকা থেকে আসামি মিরাজ ও সুজনকে আটক করে পুলিশ। বাবুল এখনো পলাতক রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ-সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার ফারুক উল হক বলেছেন, তারা কাভার্ডভ্যানের মালামাল চুরি করার উদ্দেশ্যে চালক ও হেলপারকে হত্যা করেছে। তারা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে মালামাল চুরির উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে।
রিয়াদের মা জুলেখা বেগম পুলিশের কার্যালয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময়ে তিনি হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেছেন, আমরা খুব গরিব, আমার ছেলের আয়ে আমাদের সংসার চলত। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ ঘটনায় নগরীর হালিশহর ও জোরারগঞ্জ থানায় ২ টি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)