UsharAlo logo
বুধবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার বেরিয়ে এলো ইউনাইটেড গ্রুপের থলের বিড়াল

ঊষার আলো রিপোর্ট
মার্চ ১৯, ২০২৫ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও পাওয়ার স্টেশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সরকারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঠকানো হয়। ১২ বছর পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হলেও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এক প্রভাবশালীর তদবিরে থমকে আছে কমিটির কার্যক্রমও। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির (এপিএসসিএল) জমির দাম কম দেখিয়ে ২০ ভাগ শেয়ার গ্রাস করেছে ইউনাইটেড গ্রুপ। সরকারের ফান্ডে টাকা থাকার পরও বিনিয়োগ করা হয়নি। যথাসময়ে প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার অজুহাতে একতরফা কোম্পানির শেয়ার আত্মসাৎ করে ৯১ শতাংশে নিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। ২০ ভাগ শেয়ার আত্মসাতের কারণে গত ১০ বছরে কমপক্ষে হাজার কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

এদিকে ৩ মার্চ ‘খালেদা জিয়ার বাড়ি ভাঙার পুরস্কার, আলাদিনের চেরাগ ইউনাইটেড গ্রুপে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপর আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট প্রায় ১২৬০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির তথ্য সামনে এনেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, ইউনাইটেড গ্রুপ তাদের প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি করযোগ্য লাভের আয়কে করমুক্ত আয় দেখিয়ে এই টাকা ফাঁকি দেয় ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা পেয়ে এই প্রতিষ্ঠানের চার শীর্ষ ব্যক্তি (পরিচালক) নিজেদের করযোগ্য লভ্যাংশ আয়কে নথিতে করমুক্ত আয় হিসাবে ঘোষণা দিয়ে ৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা কর ফাঁকি দেয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এরা হলেন মঈনুদ্দিন হাসান রশিদ, হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম ও ফরিদুর রহমান খান। এর মধ্যে মঈনুদ্দিন হাসান ২০১৭-১৮ করবর্ষে চার কোটি ৩৩ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছেন। হাসান মাহমুদ ২০১৭-১৮ করবর্ষে ১২ কোটি ৭১ লাখ ও ২০১৮-১৯ করবর্ষে পাঁচ কোটি ২৬ লাখ টাকা, খন্দকার মঈনুল আহসান ২০১৬-১৭ করবর্ষে ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও ২০১৭-১৮ করবর্ষে চার কোটি দুই লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছেন। এছাড়া ফরিদুর রহমান ২০১৭-১৮ করবর্ষে এক কোটি আট লাখ টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন।

ইউনাইটেডের মালিকানাধীন ইউনাইটেড ময়মনসিংহ পাওয়ার লিমিটেড ২০১৯-২০ করবর্ষে ৮৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ২০২০-২১ করবর্ষে ১৪৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ২০২১-২২ করবর্ষে ১৬৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, ২০২২-২৩ করবর্ষে ২১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, ২০২৩-২৪ করবর্ষে ২২৩ কোটি সাত লাখ টাকা ও সর্বশেষ ২০২৪-২৫ করবর্ষে ৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়েছে। সর্বমোট এই ছয় করবর্ষে ফাঁকি দেওয়া রাজস্বের পরিমাণ ৯৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৩১৯ টাকা।

এছাড়াও রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ইউনাইটেড এনার্জি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮-১৯ করবর্ষে ১৭১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ২০১৯-২০ করবর্ষে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ২০২০-২১ করবর্ষে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২০২১-২২ করবর্ষে ৩৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০২২-২৩ করবর্ষে ৩৯ কোটি সাত লাখ টাকা ও সর্বশেষ ২০২৩-২৪ করবর্ষে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়েছে। সর্বমোট এই ছয় করবর্ষে ফাঁকি দেওয়া রাজস্বের পরিমাণ ৩২২ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭২ টাকা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন স্থাপনে ইউনাইটেড গ্রুপের অবৈধ হস্তক্ষেপের সঙ্গে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ছাড়াও জড়িত ছিলেন তৎকালীন এপিএসসিএলের একাধিক অসাধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফলে এতবড় জালিয়াতির পরও প্রতিবাদ বা মামলায় যায়নি আশুগঞ্জ পাওয়ার কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী সে সময় ৩শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার করেনি। এদিকে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩৬০ কোটি টাকা। এই ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তৎকালীন এই প্রকল্পের পরিচালনা পর্ষদে আশুগঞ্জের পক্ষে বোর্ড মেম্বার রাখা হয়েছিল মাত্র দুজন আর ইউনাইটেডের পক্ষে ছিলেন সাতজন। এ কারণে বোর্ডের সব সিদ্ধান্ত ইউনাইটেডের পক্ষে যেত। এসব একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবিতেও (বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) কোনো প্রতিবাদ হতো না। কারণ সবার মুখ বন্ধ করে রাখা হতো।

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিতে কর্মরত ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ওই সময়ে আমাদের ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বিনিয়োগ করা হয়নি। এতে বড় ধরনের ঘুস-দুর্নীতি আর আন্ডার হ্যান্ড ডিলিং হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ওই সময় প্রকল্পের জন্য পুরো জমি দিয়েছিল আশুগঞ্জ। এই জমির মূল্য এখন হাজার কোটি টাকার বেশি। জমির মূল্য ধরা নিয়েও বড় ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুসবাণিজ্য হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করে। এই কোম্পানির মাধ্যমে ১৯৫ মেগাওয়াট একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। কোম্পানি গঠনের শুরু থেকেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠে। ৩টি কোম্পানি দরপত্রে অংশ নিলেও কৌশলে সামিট পাওয়ার ও এনার্জি প্যাক পাওয়ার লিমিটেডের দরপত্র বাতিল করা হয়। দুই খাম পদ্ধতির দরপত্রে টেকনিক্যাল ধাপেই দুটি প্রতিষ্ঠান নন-রেসপন্সিভ হয়। শর্ত ছিল প্রকল্পটি পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দরদাতার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা-মোকদ্দমা থাকতে পারবে না। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা আগে থেকেই জানতেন একমাত্র ইউনাইটেড পাওয়ারের বিরুদ্ধে ওই সময় কোনো মামলা ছিল না। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে দরপত্রে এমন শর্তজুড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে।

বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ ধরনের একটি প্রকল্পে মামলার শর্তটি কোনোভাবেই অত্যাবশ্যকীয় হতে পারে না। একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে। মামলার অর্থ এই নয় যে কোম্পানিটি খারাপ। তাদের মতে দুটি কোম্পানিকে নন-রেসপন্সিভ করার জন্য আগে থেকেই শর্তটি জুড়ে দেয় সিন্ডিকেট। পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন পতিত সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ও পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও আহমেদ কায়কাউস।

দুটি কোম্পানির দরপত্র বাতিল হওয়ায় একক দরদাতা হিসাবে চড়া দামে আশুগঞ্জ ১৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পায় ইউনাইটেড। দরপত্র আহ্বান করার সময় এপিএসসিএলের চেয়ারম্যান ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন নুরুল আলম। ওই সময়ে পুরো বিদ্যুৎ খাতের নিয়ন্ত্রণ করত আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ার হোসেন সিন্ডিকেট। দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন নুরুল আলম। যিনি জালিয়াতির কারণে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

জানা গেছে, শেয়ার কেলেঙ্কারির এই কারসাজির নেপথ্যে কাজ করেছেন পতিত শেখ হাসিনা সরকারের তৎকালীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, এপিএসসিএলের তৎকালীন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আলম। নেপথ্যে থেকে সবাইকে সহায়তা করেছেন সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। যিনি আওয়ামী লীগ আমলের বিদ্যুৎ খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন। আবুল কালাম আজাদ ও আনোয়ার হোসেন একপর্যায়ে সবকিছু ধামাচাপা দেন। প্রতিদান হিসাবে প্রতিমন্ত্রী বিপুকে ঘুস হিসাবে নামমাত্র মূল্যে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউর ১০০ ফিট সড়কের পাশে অবস্থিত ৮০ কাঠা জমি। যার বর্তমান মূল্য দেড়শ কোটি টাকার বেশি। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন স্তরে এখনো হাসিনার ভূত রয়ে গেছে। তারা নানাভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী এসব কোম্পানিকে নানাভাবে শক্তির জোগান দিচ্ছে। জানা গেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনাইটেড গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি থেকে অনেককে নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের বিভিন্ন কোম্পানিতে পরিচালক হিসাবে বসানো হয়।

ইউনাইটেড গ্রুপের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শামীম খান এ জালিয়াতি প্রসঙ্গে বলেন, দরপত্রের শর্ত ছিল কোম্পানির নামে কোনো মামলা থাকা যাবে না। সামিট ও এনার্জি প্যাকের তখন মামলা চলছিল তাই তাদের দরপত্র বাতিল হয়ে যায়। শেয়ার বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শামীম বলেন, যৌথ মূলধনী কোম্পানি এপিএসসিএল শুধু জমি দিয়েছে, আর কোনো মূলধন বিনিয়োগ না করায় তাদের শেয়ার কমে গেছে। আমরা দফায় দফায় তাদের মূলধন বিনিয়োগ করতে বলেছি। তাদের সাড়া পাইনি। যে কারণে তাদের শেয়ার ২৯ শতাংশ থেকে কমে ৯ শতাংশ হয়েছে। আর আমাদের ৭১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯১ শতাংশ হয়েছে। এখানে কোনো আত্মসাতের ঘটনা নেই।

এপিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লা বলেন, আমি সম্প্রতি দায়িত্বে এসেছি বিষয়টি ভালো বলতে পারব না। খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে। তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি জমির দাম অনুযায়ী শেয়ার ২৯ শতাংশ হওয়ার কথা। পরে জমির দাম ইভালুয়েশন করে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। বাকি ২০ শতাংশ নেই। জমির ইভালুয়েশন কিভাবে করা হয়েছে বলতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে মনে হচ্ছে রহস্য আছে। তদন্ত ছাড়া পুরো বিষয়টি বলা মুশকিল। সম্ভবত গত বছর শেয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তখন ইউনাইটেড গ্রুপ বলেছে মার্কেট প্রাইস অনুযায়ী দিতে হবে। এ জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়, তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এপিএসসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদকে মোটা অঙ্কের ঘুস দিয়ে কিনে ফেলেছিল। আর ঘুস খেয়ে তৎকালীন এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে পর্যাপ্ত টাকা থাকা শর্তেও ইউনাইটেডকে টাকা দেয়নি।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, সরকারি সিন্ডিকেট আর ইউনাইটেড যোগসাজশে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা এর সঙ্গে জড়িত থাকলে নিজেরা ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে সরকারি কোম্পানির ক্ষতি করেছেন। কারও ইচ্ছায় শেয়ার কমিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। যদি এটা করতে হয় তাহলে আগে চুক্তি বাতিল করতে হবে। ঘটনাটি কবে কিভাবে হলো তার তদন্ত করে বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। ফৌজদারি আইনে তাদের বিচার করার সুযোগ রয়েছে। এভাবে রাষ্ট্রের ক্ষতি করে কেউ পার পেলে খারাপ নজির তৈরি হবে।

২০১৫ সালের ৮ মে ইউনাইটেড আশুগঞ্জের ১৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে আসে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং বেসরকারি ইউনাইটেড গ্রুপের যৌথ মালিকানায় ‘ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেড’ নামে কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়।

ঊষার আলো-এসএ