ঊষার আলো ডেস্ক : ঋণ জালিয়াতি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় দেয়া হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত ঋণ জালিয়াতির মামলায় চার বছর এবং অর্থ পাচারের মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জন আসামির আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক উল্লেখ করেছেন, তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা অবৈধভাবে সিনহার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
এর আগে গত ৫ অক্টোবরে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। বিচারক ছুটিতে থাকায় তখন তারিখ পিছিয়ে রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী তারিখ ২১ অক্টোবর ধার্য করা হয়। কিন্তু ২১ অক্টোবরেও রায় ঘোষণা হয়নি। কারণ হিসেবে জানানো হয় রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক নতুন তারিখ দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর বিচারপতি সিনহাসহ ১১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিলো, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে গোপনে পাচার করেছেন’।
অভিযোগপত্রে আরো যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিলো তারা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, চিশতী ওরফে বাবুল চিশত, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহজাহান, সেখানকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। তাদের মধ্যে মাহবুবুল হক চিশতী কারাগারে রয়েছেন।