কপিলমুনি(খুলনা) প্রতিনিধি : ভরা বর্ষা মৌসুম আষাঢ়, শ্রাবণ ও চলতি ভাদ্রে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় কপিলমুনি এলকার সর্বত্র আমন চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অশংকা দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা। বৃষ্টির এই ভরা মৌসুমে দীর্ঘ দিন অনাবৃষ্টি আর ঝাঁঝালো রোদে আবাদী জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে কৃষকরা জমিতেই যেতে পারছেন না। সামান্য সংখ্যক কৃষকরা বীজতলা তৈরি করলেও বৃষ্টির অভাবে ধান চারা ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। সব চেয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন পাট চাষীরা। বৃষ্টির অভাবে খানা-খন্দক, ডোবা নালা সহ অন্যান্য জলাশয়ে পানি না থাকায় পাট জাগ (পাট পঁচানো) দিতে পারছেন না। শত শত বিঘা জমির পাট কাটতে পারছেন না।
।। পাট জাগ দিতে পারছেন না পাট চাষিরা ।।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এবার পাইকগাছা উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। অসংখ্য পাট চাষী, ক্ষেতে পাট কেটে রিখে দিয়েছেন কিন্তু এলাকার কোন ডোবা-নালায় পানি না থাকায় তারা পাট জাগ দিতে পাছেন না। ফলে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে হতশায় দিন গুনছেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ সেচের পানি দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন, কিন্তু সেটা ব্যয় বহুল।
আমন চাষী আছাবুর রহমান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমন চাষ করেছি। তবে প্রতি বছর বৃষ্টির পানিতে আমন রোপন করলেও এবার সেচের পানি ক্ষেতে দিয়ে রোপন করতে হলো। জানি না বাকি দিনগুলো কি অবস্থায় যায়। আমন মৌসুমে যদি পানির অভাবে বার বার সেচ দেওয়া লাগে তাহলে আমরা অর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবো এতে কোন সন্দেহ নেই।
শ্রীরামপুর গ্রামের পাট চাষী আব্দুল ওহাব জানান, রোদে পাটগাছের আগা শুকায়ে গেছে। তীব্র তাপে পানির অভাবে পরিণত পাট গাছলোও শুকিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। অনেক জায়গায় পাট গাছ কেটে জাগ দিতে না পারায় তা জমিতে পড়ে রয়েছে। এবছর পাট থেকে আমাদের আয়ের কোন সম্ভাবনা দেখছি না।