UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিডনি পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে দিল্লিতে গ্রেফতার বাংলাদেশিসহ সাত জন

ঊষার আলো ডেস্ক
জুলাই ২৫, ২০২৪ ২:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারের তদন্ত করতে গিয়ে একটা বড়সড়ো চক্রের হদিশ পেয়েছে দিল্লির পুলিশ। আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক, এক ভারতীয় চিকিৎসক, তার সহযোগীসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লির অপরাধ দমন শাখার পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশের বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত চিকিৎসক বিজয়া রাজা কুমারী দিল্লির দুটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

দিল্লির অ্যান্টি ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি অমিত গোয়েল সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “অপরাধ দমন শাখা একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে যারা বেআইনি ভাবে অঙ্গ পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশি একজন নাগরিক যার নাম রাসেল।”

“তদন্ত করে আমরা আমরা জানতে পেরেছি এই ঘটনায় রোগী এবং দাতা দুই-ই বাংলাদেশি নাগরিক। রাসেল নামক ওই অঙ্গ পাচার চক্রের মাধ্যমে রোগী এবং অঙ্গ দাতা দুজনকেই জোগাড় করত।”

সম্প্রতি রাজস্থানের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা অভিযান চালিয়ে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তির খোঁজ পায় সেই রাজ্যে।আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ওই ব্যক্তিরা জাল নথি তৈরি করত, যার ভিত্তিতে ভারতের হাসপাতালে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের বেআইনি ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হতো।

সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়েই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের হদিশ মিলেছে। গত দুই সপ্তাহে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের তিনজন নাগরিকসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

বার্তা সংস্থা এএনআইকে পুলিশ জানিয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হতো। রোগীর পরিবারের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাওয়া হতো। ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয় ছিল এই চক্র।

দিল্লির অ্যান্টি ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি অমিত গয়েল বলেন, “রাসেলকে আমরা গ্রেফতার করেছি। একইসঙ্গে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে যে হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হতো, সেখানকার চিকিৎসকও রয়েছেন। তিনি এই চক্রের সঙ্গে কাজ করতেন। হাসপাতালের সন্দেহভাজন কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একইরকমের কিডনি পাচার চক্র যার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে তার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।