বাগেরহাটে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষে এবার “রাইস ট্রান্সপ্লান্টেশন” ( স্বয়ংক্রীয় ধান লাগানোর যন্ত্র) মেশিনের প্রদর্শনী করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারী ) বিকেলে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের খলসি অর্জুনতলা বাদোখালী মাঠে এই নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। উদ্ভোধনী হিসাবে মেশিনে ধান রোপন দেখতে এলাকার শতশত নারী পুরুষ উপস্থিত হয়। পরে “রাইস ট্রান্সপ্লান্টেশন” মেশিন দিয়ে স্থানীয় এক কৃষকের জমি রোপন করে দেওয়া হয়।
“রাইস ট্রান্সপ্লান্টেশন’ প্রদর্শনী কর্মসুচি প্রধান অতিথি হিসাবে উদ্বোধন করেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিা বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে পারলে, সময় ও ব্যায় দুটোই কমবে। পাশাপাশি উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। ৫২ শতাংশ জমিতে ধান রোপন একজন কৃষকের কমপক্ষে ৬ জন শ্রমিক লাগে। যাতে ব্যয় হয় তিন হাজার টাকা। কিন্তু এই একই পরিমান জমি “রাইস ট্রান্সপ্লান্টেশন” মেশিনের মাধ্যমে লাগাতে ১ হাজার থেকে ১২‘শ টাকা লাগতে পারে। সেই সাথে সময় লাগবে দুই ঘন্টার কম। এসব কারণে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী। তিনি উপস্থিত জমি মালিক ও কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন জমি অনাবাদি রাখবেন না। সব সময় ফসল ফলাবেন। সরকার কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে পাশে আছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদারের সভপতিত্বে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেগ এমদাদুল হক বাচ্চু, কৃষি কর্মকর্তা নুরে জান্নাতসহ উপ- সহকারী কর্মকর্তাগন এখানে উপস্থিত ছিলেন।