আর্জেন্টাইন উইঙ্গার এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া বলেছেন, কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার রাতটি ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের স্বপ্নের সমাপ্তি।
অতিরিক্ত সময়ে লটারো মার্টিনেজের গোলে ১-০ ব্যবধানে জয়ী হয়ে আলবিসেলেস্তারা ২০২১ কোপা আমেরিকা, ২০২২ বিশ^কাপের পর টানা তৃতীয় বড় কোন শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
৩৬ বছর বয়সী উইঙ্গার গত নভেম্বরেই ঘোষনা দিয়েছিলেন কোপা আমেরিকাই হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট।
ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি এই দিনটির স্বপ্ন দেখেছি। যেহেতু অনেক আগেই বলেছিলাম এটাই আমার শেষ কোপা আমেরিকা, এখানেই আমি থামতে চাই। আমি ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলাম। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম। এর থেকে ভাল অবসর আর হতে পারে না।’
অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ডি মারিয়াকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন। ঐ সময় ডি মারিয়ার জন্য সমর্থকদের উচ্ছসিত অভিবাদন পুরো স্টেডিয়ামের পরিবেশ আবেগময় করে তোলে।
ডি মারিয়া আরো বলেন, ‘ফুটবলে আমার অনেক সুখস্মৃতি আছে। এই প্রজন্মের কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আমি যা অর্জন করতে চেয়েছি তাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। আর আজ এভাবে বিদায় নিচ্ছি। এর থেকে ভাল সময় আর আসবে বলে মনে হয়না।’
লিওনেল মেসির সাথে ২০০৮ অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে সকলের নজড়ে আসের ডি মারিয়া। কিন্তু এরপর বেশ কিছু বড় আসরে শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে আর্জেন্টিনার ব্যর্থতায় তাকে ও মেসিকে প্রায়ই হতাশ হতে হয়েছে। আর এখন তো সব ইতিহাস। টানা তিনটি বড় শিরোপার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ক্যারিয়ারের শেষটা রাঙিয়ে দিলেন ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার কাল কলম্বিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড ১৬তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় করেছে।
বেনফিকার এই উইঙ্গার বলেন, ‘দেখলে মনে হবে বিষয়টা সহজ, কিন্তু আসলে পুরোটাই দারুন কঠিন ছিল। আমি পুরোটা জানি। কারন মুদ্রার আরেক পিঠও আমি দেখেছি। ১০-১১ বছর কোন শিরোপা ছাড়াই আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে। পরপর তিনটি ফাইনালে খেলা মোটেই সহজ নয়, তার উপর সবকটিতে জেতা তো আরো কঠিন। এখন সেটা সম্ভব হয়েছে। তবে আগের সতীর্থদের সাথে কিছু একটা জিততে চেয়েছিলাম। তারা অনেক কষ্ট করেছে। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এই দলের খেলোয়াড়রা আমাকে সবকিছু দিয়েছে।’
বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জয়ী দলের হয়ে গোল করেছিলেন ডি মারিয়া। একইসাথে ২০২১ কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানোর ম্যাচে জয়সূচক গোলটিও তার ছিল।