ঊষার আলো রিপোর্ট: করোনাকালে তাঁতী লীগের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অনুদানের ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠার পর সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছেন। লিফলেটে বলা হয়েছে-খগেন্দ্র চন্দ্র অনুদানের টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ ও তাঁতী লীগের সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জরুরি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা হবে।’ এরপর আবারও তার মোবাইলে কল করা হলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী ফোনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু ওই টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা ৪ আগস্ট খগেন্দ্র চন্দ্রের কাছ থেকে আদায় করে ৫ আগস্ট তাঁতী লীগের অর্থ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করি। বাকি ১০ লাখ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সুবহান গোলাপের মাধ্যমে করোনাকালীন সহায়তা হিসাবে বাংলাদেশ তাঁতী লীগকে ৮ এপ্রিল ১০ লাখ টাকা এবং ১৪ জুলাই ৪ লাখ টাকা ধানমন্ডিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে গ্রহণ করেন সংগঠনের সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। এই অর্থ সংগঠনের ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এ নিয়ে তাঁতী লীগের কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বহিষ্কার দাবি করেছেন তারা।