খুলনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মহানগরীর শীর্ষ মাদক কারবারি ‘ইয়াবা সম্রাট’ সজীবসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক, গুলি ও মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
সোমবার সকালে নগরীর চানমারী ও রূপসা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নৌবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নৌবাহিনীর নেতৃত্বে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ক একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চানমারী বাজারের ২ নং গলির বাসা থেকে ইয়াবা সম্রাট মো. সজীব ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার বাসায় তল্লাশি করে তিন রাউন্ড ব্লাঙ্ক কার্টিজ এমুনিশন, এক হাজার ৬১৭ পিস ইয়াবা, এক লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ২১টি মোবাইল সেট, একটি ল্যাপটপ, পাঁচটি সিসি ক্যামেরা ও একটি রামদা জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে সজীবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নতুন বাজার এলাকার আসাদুল গাজীর ছেলে ফয়েজ রাব্বী, চানমারী মাদ্রাসা রোড এলাকার ইয়াকুব মোল্লা, দাকোপ উপজেলা সদরের জালাল গাজীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম নীরব ও রূপসা বেড়িবাঁধ রোডের সত্তার বড় মিঞার গলির মোহাম্মদ তোয়েব আলী সিকদারের কন্যা জামিলা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। সে ক্রসফায়ারে নিহত সুন্দরবনের বনদস্যু জুলফিকার আলী ওরফে জুলফির ছেলে। তার ছোট ভাই আশিক ইসলাম নগরীর ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাং ‘আশিক গ্রুপ’-এর প্রধান।আশিক এখন পর্দার অন্তরালে থাকলেও সজীব খুলনায় প্রকাশ্যেই মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল।
নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার সামওয়েল আহমেদ খান আদিত বলেন, ‘নৌবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অপারেশনটিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ অংশ নেয়।’
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম হত্যা মামলায় জড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হন আশিক। এ পর্যন্ত তার নামে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক। তার দলে সদস্য রয়েছে ২৩ জন। তাদের নামে মোট মামলা রয়েছে ১১০টি।